সান্তাহার জংশন শহরের রেলভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় অর্ধডজন বস্তি নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন, শহরবাসীসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষ। এ সকল বস্তিতে বসবাসরত বাসিন্দাদের অধিকাংশ কোন না কোন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বস্তির বেশির ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চোরাচালানের কাজে জড়িত।
আদমদীঘি থানা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, প্রতিবছর উপজেলায় যে পরিমাণ অপরাধ সংঘঠিত হয় তার শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ঘটে সান্তাহার শহরের বস্তিবাসীদের দ্বারা।
সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, রেলপথে যে সমস্ত চোরাকারবারী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলেই সকলেই সান্তাহার শহরের বিভিন্ন বস্তি বাসিন্দা। এছাড়া সান্তাহার জংশন স্টেশন এলাকায় যে সমস্ত অপরাধ সংঘঠিত হয় সে সকল অপরাধে সঙ্গেও জড়িত।
সান্তাহার জংশন শহরের যে সমস্ত বস্তি রয়েছে এর মধ্যে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বসুন্ধরা বস্তি, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চা-বাগান বস্তি, লোকো কলোনী ও আম বাগান বস্তি অন্যতম। এ সমস্ত বস্তিতে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ বসবাস করে। বস্তিুগুলোতে অপরাধের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ নানা ধরনের ভারতীয় মদ বেচাকেনা চলে এ সকল বস্তিতে।
এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বস্তির পরিসর দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বস্তি ছেড়ে কতিপয় দখলদার এখন দখলে নিচ্ছে রেলওয়ের বাসাগুলোতে। কেউ কেউ নতুন নতুন জায়গা দখল করে সেখানে নির্মাণ করছে পাকা ভবন। এ সমস্ত বস্তিবাসীরা কোন প্রকার পৌর কর না দিলেও শুধুমাত্র ভোটের কারণে পৌর কাউন্সিলররা বস্তি এলাকায় খরচ করছেন পৌরসভার লাখ লাখ টাকা।
প্রায় প্রতিটি বস্তিতেই অবাধে চলছে দেহ ব্যবসা। এ সকল বস্তির পতিতারা রাতে স্টেশন এলাকা সহ শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও তারা অবস্থান করে বস্তিতে। সান্তাহারের একমাত্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয় হার্ভে উচ্চ বিদ্যালয়টি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় ছাত্রীদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বিদ্যালয়ের সঙ্গে বস্তি থাকায় সেখানে বখাটে ও পতিতারা সার্বক্ষণিক অবস্থান করে। এর ফলে ছাত্রীসহ পথচারীরা ভয়ভীতির মধ্যে এই পথে চলাচল করে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চিহ্নিত অপরাধীরা এ সমস্ত বস্তিতে এসে অবস্থান নেয়। সুযোগ বুঝে নানা ধরনের অপরাধ করে কৌশলে তারা সটকে পরে। বস্তির কারণে অপরাধ দমনে জটিলতায় পড়তে হয়।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/০৭-জুন-২০১৬ইং
this report is not cent percent true.
ok, Thank u 🙂