দৈনিক সান্তাহার

নামজারী নিয়ে ভোগান্তিতে ভূমি মালিক

namjariসান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহারসহ আদমদীঘি উপজেলায় নামজারী (খারিজ) করা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতশত ভূমির মালিক।
অভিযোগ করা হয়েছে সঠিক কাগজপত্র থাকার পরও সহকারী কমিশনার ভূমি নতুন নামজারী খতিয়ান খুলে না দেয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়ে দিনের পর দিন ভূমি অফিসে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে ভূমি মালিকগণ। নামজারী খতিয়ান না হওয়ায় ভূমি বেচাকেনা ও ব্যাংক ঋণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা মালিকগণ। পক্ষান্তরে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এঅবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বিহিত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বেশ কিছু ভূমি মালিক বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ওই অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলা ভূমি অফিসের অধীনে সান্তাহার পৌর ভূমি অফিস ছাড়াও রয়েছে ছয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এসব ভূমি অফিসের আওতায় সাধারন ভূমি মালিকরা নামজারী করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে সঠিক কাগজ পত্রসহ নামজারী করার জন্য আবেদন করলে তা বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কারন দেখিয়ে বাতিল করা হচ্ছে।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে নামজারী আবেদন ফরমে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ভূমিতে সরকারী স্বার্থ জড়িত না থাকলে সর্বশেষ নামজারী ভিত্তিতে নামজারী করা হবে। সে ক্ষেত্রে নামজারীকৃত সর্বশেষ খতিয়ান ছাড়া অন্য কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। কিন্তু বর্তমান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা পারভিন সর্বশেষ নামজারী খতিয়ান থেকে নতুন নামজারী করছেন না। বরং তিনি গত ৭/৮ মাসে প্রায় দুই হাজার খারিজ কেস বাতিল করে দিয়েছেন।
শত শত ভূমি মালিকের মত নামজারী করতে আবেদন করেছেন সান্তাহার শহরের চাবাগান মহল্লার জনৈক মাসুদ। দীর্ঘ কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও তিনি নামজারী করাতে পারছেন না। তিনি জানান, তার মায়ের নামে সর্বশেষ নামজারী খতিয়ান আছে। তার মায়ের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হন সে ও তার ছোট ভাই এবং বাবা। সে বিষয়ে পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ওয়ারিশান সনদও জমা দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও উপজেলা সহকারী কমিশনার নামজারী থেকে নতুন নামজারী খতিয়ান খোলা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় সে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এরকম অবস্থা শুধু মাসুদের নয়; উপজেলার শতশত ভূমি মালিকের। এব্যাপরে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি) মাহমুদা পারভীনের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সঠিক কাগজ পত্র থাকার পরও নামজারী করা হচ্ছে না এই অভিযোগ সঠিক নয়। সর্বশেষ নামজারী থেকে নতুন নামজারী করার বিষয়টি সরকারী ভাবে পরিপত্র আকারে জারী করা হয়নি। এটি নামজারী আবেদন ফরমের একটি পয়েন্ট মাত্র। নামজারী করার জন্য আবেদন করা ভূমিতে সরকারি স্বার্থ জড়িত আছে কিনা তা বিষদ ভাবে যাচাই করা হচ্ছে। যাচাইয়ে যাদের কাগজ পত্র সঠিক পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে নামজারী করে দেওয়া হচ্ছে।
এ অবস্থা শুধু আদমদীঘি উপজেলাতে নয়, জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও নামজারীর জন্য করা আবেদনের ভূমিতে সরকারি স্বার্থ জড়িত আছে কি-না সে বিষয়টি বিষদ ভাবে যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন।

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/১৭ এপ্রিল ২০১৭ইং