দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহার পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ

সান্তাহার ডেস্ক :: ‘সান্তাহার মাদকদ্রব্য পণ্যাগার’ পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন নির্মাণ কাজের অনুমোদনের প্রয়োজন হলে বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগ দেখবেন। তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছেন, নির্মাণ কাজে অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই। তীর ছোড়াছুড়ির মধ্যদিয়ে কাজ এখনো অব্যহত।

সান্তাহার পৌরসভার অভিযোগে জানা যায়, পৌর এলাকায় সকল সরকারী, স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণের আগে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কাছ থেকে নকশা অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু সান্তাহার মাদকদ্রব্য পণ্যাগারের সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও পৌরসভা থেকে কোনো রকম অনুমোদন গ্রহন করেননি তারা। আর এ বিষয়ে পৌরসভা তাদের বিধি মোতাবেক নির্মাণ কাজ করার জন্য মাদকদ্রব্য পণ্যাগার বরাবর একটি লিখিত নোটিশ করেন। কিন্তু তারা সেটি গ্রহন না করে নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন।

অপরদিকে নির্মাণ কাজ শুরু করা হলে প্রাচীরটির পশ্চিম পার্শ্বের উত্তর-দক্ষিণ বরাবরে দুটি (সান্তাহার ও বশিপুর) মৌজার সংযোগস্থল দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ৮-৯ ফুট প্রসস্ত রাস্তা রাখার জন্য এলাকাবাসী পৌরসভায় একটি গণদরখাস্ত দাখিল করেন।

বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেদী হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হেড কোয়ার্টার থেকে পুরাতন প্রাচীর ভেঙে একই স্থানে নতুন প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পিডব্লিউডি ট্রেন্ডারের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য পণ্যাগারে পুরাতন প্রাচীর ভেঙে নতুন প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। প্রাচীর নির্মাণ করতে নতুন করে কারো জায়গা দখল করা হয়নি ফলে পৌরসভা কেন অভিযোগ দেয় তা আমার বোধগম্য নয়। নির্মাণ কাজে পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের অধিদপ্তর নির্মাণ কাজ গণপূর্ত বিভাগকে দিয়েছে সেহেতু পৌরসভার অনুমোদন প্রয়োজন হলে তারাই নিবেন। এলাকাবাসীর রাস্তার দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়ার আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। তারা যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন আর সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় যদি বিবেচনা পূর্বক জায়গা ছেড়ে দেয় তবেই তা সম্ভব।

পৌরসভার অনুমোদনের বিষয়ে বগুড়ার গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাকী উল্লাহ বলেন, সরকারি কাজে কোনো অনুমোদন নিতে হয় না।

এ ব্যাপারে সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, পৌরসভা আইনে ১৯৭৭ এর ৯৮(১) ধারা অনুযায়ী পৌর এলাকায় গৃহ নির্মাণের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভার কাছ থেকে সাইট প্লানের অনুমোদন নিতে হয় কিন্তু সান্তাহার মাদকদ্রব্য পণ্যাগার কোনো ধরণের অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ কারণে পৌর বিধি বাস্তবায়নের জন্য একটি নোটিশ পাঠানো হলে তারা সেটি গ্রহণ করেননি বরং নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন। সূত্র : কালের কণ্ঠ

সান্তাহার ডটকম/১৮ জুন ২০২০ইং/এমএম