সান্তাহার ডেস্ক:: ঈদ যতই কাছে আসছে সান্তাহারসহ আশপাশ এলাকার বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় ততই বাড়ছে। এ বছর ঈদের বাজারে শিবাঙ্গি, নাগিন-২, বাহুবলি-২, জোবেদা, কিরনমালা, পাহাড়পুরী, ভাঙ্গচুর, লাচা, ডিভাইডার, গাওন, ফ্লোরটার্চ, আনারকলি, জিপসী, অ্যান্ডিকটা, ধুপিয়ান থ্রি পিচ চাহিদা বেশি। তবে এবার ঈদের বাজার এককভাবে দখল করে রেখেছে বাহুবলি। এ পণ্যটি ভারতীয় হলেও কাটলক দেখে হুবহু বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে। ভারতীয় ও বাংলাদেশী দুটিরই সমান চাহিদা এবারের ঈদ বাজারে। শুধু সান্তাহার নয় পাশ্ববর্তী নওগাঁ জেলাসহ বগুড়ার আদমদিঘী, দুপচাচিয়া, নওশেদপুর ও সান্তাহার, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর ও তিলকপুর থেকেও ক্রেতারা বাজারে এসেছেন কেনাকাটা করতে।
সান্তাহারের সোনার বাংলা মার্কেট ছাড়াও নওগাঁর গীতাঞ্জলী শপিং কমপ্লেক্স, বসাক শপিং কমপ্লেক্স, ঠাকুর ম্যানসন, পোরশা মার্কেট, দেওয়ান বাজার, শুভপ্লাজা, মাজেদা সুপার মার্কেট, ক্রিসেন্ট মার্কেট, বিসমিল্লাহ টাওয়ার, মদিনা মার্কেটসহ বড় বড় দোকানগুলোর মধ্যে শিলামণি গার্মেন্টস, জোসনার ফুল, জোসনার মেলা, ঠিকানা, টুনটুনি, আনান, রংঅঙ্গন দোকানগুলোসহ প্রায় দুইশতাধিক তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাকের সমাহার। এসব দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। পছন্দের পোশাক কিনতে ব্যস্ত সকলেই। দ্রব্যমূল্য ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা এবং ক্রেতারা।
উচ্চবিত্তরা কিনছে বেশি মূল্যের ভারতীয় বাহুবলিসহ অন্যান্য আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা কিনছে দেশি তৈরি বাহুবলিসহ অন্য সব দেশি পোশাক। এসব বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও এসব দোকানে বিভিন্ন ধরনের দেশি সুতি থ্রি পিচ পাওয়া যাচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায়।
ঈদের কেনাকাটা শেষ জান্নাতুন ফেরদৌস ঐশি বলেন, এবারের পছন্দের পোশাক বাহুবলি। সাড়ে ৪ হাজার টাকায় কিনেছি। যদিও দাম একটু বেশি তবু পছন্দের পোশাকটি কিনতে পেরে অনেক খুশি লাগছে।
স্বপরিবার নিয়ে গীতাঞ্জলি শপিং মলে এসেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, উপজেলা থেকে শহরের দোকানে নতুন নতুন পণ্যের ব্যাপক সমাহার থাকে। চাহিদা মোতাবেক পোশাকের যে সম্ভার তার কোন কমতি নেই। পছন্দমত কেনাকাটা করা যায়। এছাড়া দামও কিছুটা কম পাওয়া যায়।
এছাড়াও এসব দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে তরুনদের নানা বর্ণের পাঞ্জাবি। এ বছর তরুনদের পাঞ্জাবির চাহিদায় রয়েছে শর্ট পাঞ্জাবি, সেরওয়ানী পাঞ্জাবি, সেমি লং পাঞ্জাবি, লং পাঞ্জাবি এবং ইন্ডয়িান পাঞ্জাবি। বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এছাড়াও রং অঙ্গনসহ হস্তশিল্পজাত দোকানগুলোতে হাতের কাজের ওয়া পিচ, হাতের কাজের শাড়ি, হাফ সিল্ক, কাতান, তসর, আড়ং এবং জর্জেট সফট শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এসব দোকানেও ভীড় কম নয়। বিশেষ করে অভিজাত পরিবারের মহিলারা এসব দোকানে ভীড় করে কেনাকাটা করছেন। এগুলো দোকানে ওয়ান পিচ বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন রকমের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।
অপরদিকে স্বল্পমূল্য একদর ১৫০ টাকা মূল্যে জুতার দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। পোশাকের সাথে মিল রেখে ম্যাচিং করার জন্য জুতা কিনছেন ক্রেতারা।
দোকানীরা বলেছেন, কেনাকাটা কেবল জমে উঠেছে। ২০ রোজার পর থেকে বেচাকেনা আরও জমে উঠবে। এবছর কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন কাজেই তাঁদের ঘরে স্বচ্ছলতা। অন্যদিকে চাকরিজীবিদের বোনাস দেয়া হয়েছে।
এবারে বাহুবলি এককভাবে ঈদের বাজার দখল করে রেখেছে। শতকরা নব্বই ভাগ তরুণীর একই চাহিদা বাহুবলি।
>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২২ জুন ২০১৭ইং
Add Comment