আপডেট দৈনিক সান্তাহার সান্তাহার পৌরসভা

তীব্র তাপদাহ: সান্তাহারে বাড়ছে সর্দি জ্বর ও কাশি

প্রচন্ড গরমে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সান্তাহার পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসও কোনো কাজে আসছে না। এ গরম থেকে প্রশান্তি পেতে মানুষজনকে গাছপালার নিচে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সান্তাহার রেলগেট চত্বরে ভ্যানচালক নয়ন আলী জানান, জীবিকার ত্যাগিদে তীব্র গরমের মধ্যে গাড়ি নিয়ে বের হলেও দুপুরে তেমন একটা যাত্রী পাওয়া যাচ্ছেনা। শুধু তাই নয়, পিচঢালা সড়কে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে পানিশূন্যতাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় হাসপাতাল ও প্রাইভেট চিকিৎসাকেন্দ্রের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ডায়রিয়া, সর্দি কাশি ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে শিশুসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ভাইরাসজনিত রোগে মানুষজন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অন্যদিকে গরমের কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ফলমূলের দামও বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ডাবের। প্রতিটি ডাব যেখানে বিক্রি হতো ৬০-৮০ টাকায় অথচ সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায় ।
ফল ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে অন্য ফলের চেয়ে ডাবের প্রতি চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে ডাবের দাম বেড়ে দিয়েছে বিক্রেতারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জনা যায়, সর্দি কাশি ও জ্বরসহ বিভিন্ন গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল পর্যন্ত ৩০-৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে সকালে জ্বরের জন্যই ৫জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাইভেট ক্লিনিকসহ অন্যান্য চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বহু মানুষ।
স্থানিয় চিকিৎসালয়ে গৃহীনি মরিয়ম বেগম চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তিনি জানান, জ্বরে তিনি সহ তার পরিবারের তিনজন সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলে রাব্বী জানান, হাসপাতালে ডায়রিয়া, সর্দি কাশি ও জ্বরে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বর্তমানে ডায়রিয়া রোগী কিছুটা কম হলেও বেশির ভাগই জ্বরের রোগী।