দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহারে জমে উঠেছে পূজার মেলা

তরিকুল ইসলাম জেন্টু :: শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে সান্তাহার রেলওয়ে সার্বজনীন মন্দিরের সামনের জমে উঠেছে পূজার মেলা। গত শুক্রবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া মেলাটি আগামী মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্যেদিয়ে শেষ হবে। দুর্গাপূজায় বাড়তি আনন্দ দেয় এই মেলা। মেলার চারপাশে হরেক রকম পণ্যের স্টল। লোকের ভিড়ভাট্টায় দাঁড়ানোই মুশকিল। তবু সবার উঁকিঝুঁকি দিয়ে একটু দেখার চেষ্টা মেলায় কী কী পাওয়া যাচ্ছে।

রোববার বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, পূজার মেলায় নাগরদোলা, চরকিসহ রয়েছে বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা। খাজা-গজা,জিলাপীসহ রকমারি খাবার তো আছেই। মেলার প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে দুই ধারে বাহারি পণ্যের স্টল। মন্ডা-মিঠাই, নিমকি, লাড্ডুসহ নানা রকম মিষ্টিজাতীয় খাবার রয়েছে সাজানো। এক দোকানি বলেন, পূজা উপলক্ষে তাঁরা এগুলো নিজেরা বানিয়ে আনেন। তবে বেচা-বিক্রি নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। এরপর মেলার ভেতর হাঁটতে গেলে হঠাৎ দেখা যায়, নানা ধরনের মাটির তৈরি সবজি আর ফলের সমারোহের খেলনা।

মাটির এই খেলাগুলোর প্রতি আগ্রহ অনেকেরই। আর মুক্তা প্রামানিক দাঁড়িয়ে এসব খেলনা দেখছিলেন। তিনি বলেন, এই জিনিস সব সময় পাওয়া যায় না। দেখতে ভালো লাগে। ছোটবেলার মেলার কথা মনে পড়ে। আর সেজন্যই দেবীদর্শনের পাশাপাশি ভক্তেরা ভিড় জমাচ্ছেন মেলাতে।সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অনেকে ঘুরতে এসেছেন মেলায়। মায়ের সাথে ঘুরতে এসেছে শিশু তমাল। মায়ের কাছে তমালের দাবী নাগরদোলায় চড়বে। কিন্তু মা চাইছেন প্রতিমা দেখা শেষ করে ওকে চড়াবেন। তমাল তার দাবিতে অটল। অবশেষে ছেলের জেদের কাছে মা হার মানলেন।

নাগরদোলায় চড়ে তমাল আনন্দে আটখানা। বলল,‘এখানে চড়তে খুব মজা।’ নাগরদোলায় সামনে তখন লম্বা লাইন। বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই আসি। বৈশাখ আর পূজা ছাড়া এমন আমেজ তো পাওয়া যায় না।’ অর্ঘ কুমার সাহা বলেন, সান্তাহার পৌর এলাকার মধ্যে এখানেই বসে সবচেয়ে বড় মেলা । প্রায় ৮/১০ বছর ধরে এখানে মেলা বসে।

সান্তাহার ডটকম/এমএম/ ০৭ অক্টোবর ২০১৯ইং