তালের শাঁস যা সান্তাহারও আশপাশ এলাকার মানুষরা তালকুর নামেই বেশি চেনেন। খেতে সুস্বাদু এই ফলটি মৌসুম ফল। সান্তাহার শহরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন রাস্তায় কাঁচা তালের কাঁদি নিয়ে দেখা যায় বিক্রেতাদের। শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে হাট-বাজার পর্যন্ত তালশাঁসের চাহিদা রয়েছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে তাল শাঁস বিক্রেতারা ধাঁরালো দা-ছ্যান ও কাঁচা তাল নিয়ে ফুটপাতে বসে একটার পর একটা অনবরত কেটে ক্রেতাদের হাতে শাঁস পরিবেশন করতে থাকেন। এলাকা ভেদে একটি তালের পাইকারি দাম ৫ থেকে ৭ টাকা বলে জানা গেছে। যার খুচরা দাম ৫ থেকে ১০ টাকা।
সান্দিড়ার এক তালশাঁস বিক্রেতা বলেন, একটি গাছের তাল ৫’শ থেকে ৬’শ টাকায় কিনতে হয়। শহরে এনে তা ৭শ’ থেকে ৯’শ টাকায় বিক্রি করতে হয়। প্রচলিত ভাষায় একে ‘তালকুর’ বলা হয়। শক্ত তালের কাঁচা আবরণের মধ্যে নরম তুলতুলে শাঁস আর মিষ্টি রসের সমন্বয়ে ফলটি বাঙ্গালীদের রসনা বিলাসের পুরাতন অনুসঙ্গ। তালশাঁস পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া খুব মুসকিল। তবে তাল শাঁস সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন শিশু এবং বৃদ্ধ বয়সিরা।
পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা জানান, কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কাঁদি তাল বিক্রি করেন। এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত তালশাঁস বিক্রি করা যায়। হাসপাতালের বহির্বিভাগের মেডিকেল অফিসার জানান, একটি তালশাঁসে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে, ভাতেও সেই পুষ্টিগুণ নেই। তালশাঁসে শর্করা, স্নেহ ও আমিষ জাতীয় গুণ ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে। আর পাঁকা তালে ভিটমিন ‘এ’ সহ অন্যান্য উপাদান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাজারজাতকৃত বিভিন্ন পানীয় ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার না খেয়ে “তালশাঁস” খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যসম্মত ও উপকারী।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/০৭-জুন-২০১৬ইং
Add Comment