বিবিধ

আদমদীঘিতে ১ বছরে ১৪০ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা

attahotta

সান্তাহার ডেস্ক:: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ, নির্যাতন, পিতা-মাতার সাথে অভিমান ও আত্মহত্যায় প্ররোচনাসহ নানা কারণে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় গত ২০১৬ সালে ১ বছরে নারী ও পুরুষ গলায় ফাঁস ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ১৪০ জন। এর মধ্যে ৩০ জন নারী পুরুষের মৃত্যু ঘটে। এদিকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টাকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্রমেই এই প্রবণতা বাড়ছে বলে বিশিষ্টজনরা।
আদমদীঘি থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলায় গত ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাস হতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এক বছরে ১৪০ জন নারী পুরুষ গলায় ফাঁস ও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে মারা যায় ৩০ জন। গত ফেব্রুয়ারী মাসে ১০ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এদের মধ্যে কুন্দগ্রামে বিকাশ চন্দ্র কর্মকার ও তালশন গ্রামের জুয়েল হোসেন মারা যায়।
মার্চ মাসে ১৮ জন আত্মহত্যার চেষ্টাকারীদের মধ্যে সান্দিড়ার রবিউল ইসলাম ও কোচকুড়ি গ্রামের নাহিদুল মারা যায়, এপ্রিল মাসে ১৩ জনের মধ্যে মাঝিপাড়ার সুপদ ও হাউসপুর গ্রামের রিয়া বেগম মারা যায়, মে মাসে ১৩ জনের মধ্যে ছাতিয়ানগ্রামের আনোয়ার হোসেন ও সান্তাহারের আব্দুল মতিন মারা যায়, জুন মাসে ১৯ জনের মধ্যে দিঘড়া গ্রামের মিজানুর রহমান, বিহিগ্রামের নিলুফা ইয়াসমিন ও কোমারপুরের বানু খাতুন মারা যায়, আগষ্ট মাসে ১১ জনের মধে পূর্ব সিংড়া গ্রামের ছাইফুল ইসলাম মারা যায়।
সেপ্টেম্বর মাসে ১১ জনের মধ্যে চকবাড়িয়ার মেমি আক্তার বাহাদুরপুরের মানসি রাণী, আমবাড়িয়ার দীপ্তি রাণী, পালংকুড়ির জামেলা বিবি ও ছাতিয়ান গ্রামের মাসুদ আলী মারা যায়, অক্টোবর মাসে ২১ জনের মধ্যে বিহিগ্রামের এমরান হোসেন, ছাতিয়ান গ্রামের কহিনুর বেগম, রামপুরার রত্না রাণী, তালশনের প্রিয়া রাণী, পুশিন্দার মালা বেগম ও অজ্ঞাতনামা একজন মারা যায়, নভেম্বর মাসের বিষপান ও গলায় ফাঁস দিয়ে ১৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টাকারীদের মধ্যে বশিকোড়ার শিরিন আক্তার, ছাতিয়ান গ্রামের মায়া পারভিন কলসার হানিফা বেগম, বিনাহালির শাকিল, জাহানাবাজ গ্রামের ইতি বেগম ও জিনইরের ধলু মিয়া মারা যায় এবং ডিসেম্বর মাসে বিষ পানে ৫ জন আত্মহত্যার চেষ্টাকারিদের মধ্যে কায়েতপাড়া গ্রামের সুমন (২২) মারা যায়।
সূত্র: আমাদের সময়.কম

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/৫ মার্চ ২০১৭ইং