দৈনিক সান্তাহার

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত দর্জিবাড়ি

Santahar Newsসান্তাহার ডেস্ক:: হাতে গোনা আর কয়েকদিন তারপরও ঈদ। তাই সান্তাহারের দর্জিরা অর্ডার নেয়া প্রায় বন্ধ করেছেন। ঈদকে সামনে রেখে কাজের চাপে বেশ ব্যস্ত সান্তাহারের দর্জিপাড়া। দম ফেলার সময় নেই। দিনে ও রাতে দর্জি মেশিনের শব্দে মুখরিত দর্জি এলাকা।

সান্তাহার পৌরশহরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি পাড়ার কারিগররা। অনেকেই আবার ঈদের কেনাকাটার ভিড় জমার আগেই দর্জির দোকানগুলোতে পছন্দ মতো কাপড় কিনে তৈরি করতে দিচ্ছেন বিভিন্ন পোশাক। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে কারিগরদের। তবে এবারের ঈদে মেয়েদের পোশাকের চাপ বেশি। আর রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি তৈরির চাপ।

এই ঈদে যে যত বেশি পোশাক তৈরি করতে পারবে সে তত বেশি আয় করতে পারবে। তাই সারা বছরের জন্য অধিক আয় করাই বর্তমানে দর্জিপাড়ার কারিগরদের মূল লক্ষ্য। বছরের সব দিনে তো আর এই রকম কাজ হয় না। শুধু মাত্র ঈদুল ফিতরে কাজের চাপ বেশি। দিন-রাত কাজ করে কারিগররা সঞ্চয় করছেন তাদের বছরের আয়। তাই চলেছে প্রতিযোগিতা। রাতভর সেলাই মেশিনের শব্দে সমাগম হয়ে থাকছে টেইর্লাস পট্টিগুলো। ছোট থেকে শুরু করে ভিআইপি দোকানের কারিগররা এখন দিনরাত ব্যস্ত। গত বছরের চেয়ে এবার কাপড়ের দোকানগুলোতে মোটামুটি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রয়েছে ছোট ছোট দর্জির দোকানেও প্রচন্ড কাজের চাপ।

কেনাকাটা করতে আসা বন্তইর গ্রামের রফিক জানান, অনেক সময় তৈরি করা পোশাক পছন্দ হয় না। তাই কাপড় কিনে দর্জির কাছে তৈরি করার জন্য এসেছি। তাছাড়া আবার বেশি দিন হয়ে গেলে দর্জিরা কাপড় তৈরির অর্ডার নিতে চায় না। ঈদের সময় প্রতিটি দোকানে শেষ সময়ে এসে ভিড় বেশি হয়। তাই এবার একটু আগেই পোশাক তৈরি করতে দিচ্ছি।

সান্তাহারের টেইলার্সের কারিগর বুলু হোসেনসহ আরো অনেকেই জানান, বর্তমান সময় আমাদের কাপড় তৈরির মৌসুম। এই মৌসুমতো আর সারা বছর থাকে না। শুধু মাত্র ঈদুল ফিতরে বেশি হয়। তাই আমরা দ্বিগুন সময় কাজ করছি বেশি টাকা আয় করার জন্য। এবার ঈদের শুরুতেই কাজের অনেক চাপ। আমাদের কারখানায় দ্বিগুন সময় কাজ করতে হচ্ছে। তার কারণ ঈদের এই কটি দিন আমাদের কাজের মৌসুম।

সান্তাহার সোনার বাংলা মার্কেটের বন্ধন টেইর্লাসের মাষ্টার গোলাম রাব্বানী সজল জানান, এবার কাজের চাপ অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি। লোকজনেরা শেষ সময়ে এসে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাই কারখানায় কর্মরত কারিগরদের সারারাত কাজ করতে হয় বলে তাদের মজুরিও একটু বেশি দিতে হয়। আমরা আশাবাদী অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাজের পরিমাণ অনেকটা বেশি হবে। তবে আমরা কাজের চাপের কারণে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি মজুরি আদায় করা হচ্ছে না।

ফ্রেন্ডস টেইর্লাসের সত্বাধিকারী ও মাষ্টার মো: এস.এস বাদশা বলেন, আমি তিনি মূলত পাঞ্জাবী, সার্ট,প্যান্ট ও কাবলী সেট বেশি তৈরি করি। তাই আমার কাছে বর্তমানে এই সব কাজের চাপ অনেকটাই বেশি। আগের চেয়ে দ্বিগুন সময় কাজ করতে হচ্ছে। তবে আগামীতে কাজের চাপের পরিমাণটা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী।

সান্তাহারের কয়েকটি টেইর্লাসের মালিকরা জানান, বর্তমানে দর্জিপাড়ার কারিগর ও মাষ্টারদের দম ফেলার সময় নেই। শুধুমাত্র এই কয়েক দিন তাদের কাজের মৌসুম। তাই কারিগররা ব্যস্ত। এখন তাদের আয়ের উপযুক্ত সময়।

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২৩ জুন ২০১৭ইং