দৈনিক সান্তাহার

ঝাঁড়ু তৈরি করে পাঁচশ পরিবারের জীবিকা

jharu santaharসান্তাহার ডেস্ক:: নারিকেল গাছের পাতার খিলেল দিয়ে ঝাঁড়ু তৈরি ও বিক্রি করে সান্তাহার ও আদমদীঘি উপজেলাতে প্রায় পাঁচ’শতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কাঁচা মালের সংকট সত্ত্বেও এ পেশায় নিয়োজিত আছেন আনেকে। এ এলাকার খেজুর পাতার ঝাঁড়ু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে ।
সান্তাহার, বড় আখিড়া, বিনাহালী, ধনতলা, কুন্দগ্রামসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ঝাঁড়ু তৈরি করছে বহুদিন ধরে। নারী পুরুষসহ ৫ শতাধিক পরিবারকে দিয়েছে সুখ ও স্বচ্ছলতা। নেই এদের অভাব আর অনাটন। বড় আখিড়া ঝাঁড়ু তৈরির কারিগর সুবোল চন্দ্র দাস জানান, ১৭/ ১৮ বছর ধরে এ পেশায় রয়েছি। স্বাধীনতার পূর্বে বাঁশের খিলেল দিয়ে ঝাঁড়ু তৈরি হতো। প্রায় ৩০ বছর যাবত্ বাঁশের সংকট ও চড়া মূল্য হওয়ায় তারা নারিকেল গাছের পাতার খিলেল, বেত ও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে ঝাঁড়ু তৈরি ও বাজারজাত করছেন। কিন্তু নারিকেলের খিলেল সংকট ও অপ্রতুলতার কারণে অনেক সময় ঝাঁড়ু তৈরি সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এনজিও এবং সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে খুলনা, যশোর থেকে নারিকেলের পাতার খিলেল ক্রয় করতে হয়। চাহিদা সত্ত্বেও খিলেল সংকটের কারণে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। একজন কারিগর একদিনে ১শত পিচ ঝাঁড়ু তৈরি করতে পারে।

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/১৮ মার্চ ২০১৭ইং