সান্তাহারের বাহিরে

বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের কাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

সান্তাহার ডেস্ক :: বগুড়া- নওগাঁ মহাসড়কের কাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি। এতে ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।জানা গেছে, ২০১৭ সালের শেষ ভাগে শুরু হয় নওগাঁ বগুড়া ঢাকা মহাসড়কের নতুন করে নির্মাণকাজ। একই সাথে শুরু হয়েছিল ঢাকা-জয়পুরহাট ও নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের নির্মাণকাজ। ওই কাজগুলো প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের সান্তাহার ঢাকা রোড থেকে দুপচাঁচিয়ার সাহারপুকুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই ১০ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত দুই বছরে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং শতাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে।

সড়ক বিভাগ জানায়, বগুড়া চারমাথা থেকে নওগাঁ ঢাকা রোড পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ ২০১৭ সালের শেষ ভাগে শুরু হয়। এ পর্যন্ত বগুড়া থেকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমুহনী বাজার পর্যন্ত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে এই ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমান রাস্তাটির এ অংশ অরক্ষিত হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে এবং ধুলোবালিতে একাকার হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেই কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুই মাস আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

নসরতপুরের সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আতাউর রহমান মিলন জানান, এ কোম্পানির ব্যর্থতার কারণে আজকে রাস্তার এ হাল। ফলে দিন দিন জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। প্রাণহানিও ঘটছে অহরহ।

আদমদীঘি রহিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ব্যর্থতার কারণেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে গাফিলতি করছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে অত্যন্ত ভীতসন্তস্ত মনে যাতায়াত করতে হয়। নওগাঁর ঢাকা রোডের চিকিৎসক ডা: মামুন আল রশিদ বলেন, অনেক রোগী আমার ক্লিনিকে এসে থাকে।

বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব, বগুড়ার ডিসি, এসপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ওপর থেকেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেয়া হচ্ছে। গত ২৫ জুলাই এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই রাস্তার কাজ সমাপ্ত করতে না পারলে কোম্পানির জামানতকৃত ৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্তসহ আগামী তিন বছরের জন্য তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, জনভোগান্তি ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদেরকেও ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা খবরগুলো মন্ত্রণালয় পর্যন্ত জানিয়েছি।