সান্তাহারের ইতিহাস ঐতিহ্য

মুক্তিযুদ্ধে সান্তাহার

muktijudho santaharমুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে শুধু সান্তাহার শহর এবং আশপাশ এলাকাতেই মারা যায় প্রায় ৩০ হাজার পুরুষ-মহিলা-শিশু। দেশে অন্যান্য স্থানের চেয়ে এই সংখ্যা খুব একটা কম নয়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই অবাঙ্গালীদের রুখতে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মালশনের আজিজার রহমান, সান্দিড়ার নজরুল, জলিল, খলিল, আব্দুল গফুর জোয়ার্দার, ছাতনীর মখলেছার রহমান, ইউনুস মোল্লাসহ আরো অনেকে। সান্তাহারে অবাঙ্গালীদের সশস্ত্রভাবে মোকাবিলা করতে ছাত্রনেতা গোলাম মোর্শেদের অনুরোধে এবং ইউনুস মোল্লার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় রাণীনগর থানার অস্ত্রগার ভেঙ্গে ৪৩টি রাইফেল সংগ্রহের কাজে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন মীর হোসেন মাষ্টার, ফিরোজ খাঁন, খলিল, ডালিমসহ আরো বেশ কয়েকজন। যুদ্ধ সেই সময়ে এই অঞ্চলে এমপিএ কছিম উদ্দিন আহম্মেদ ভারতের কামারপাড়া ক্যাম্পের ডিপুটি ক্যাম্প ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঐ ক্যাম্পে পলিটিক্যাল মটিভেটরের দায়িত্ব পালন করেন সে সময়কার ছাত্রনেতা গোলাম মোর্শেদ পরবর্তীতে গণবাহিনীর থানা কো অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঐ ক্যাম্পে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন কলসার ছাত্রনেতা ওয়াদুদ এবং মেডিকেল কোরের দায়িত্বে ছিলেন সান্তাহার ডেইলী বাজারের শ্রী শচীন্দ্র নাথ। ছবি: প্রতীকি সূত্র: ইন্টারনেট
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/১৭-০৪-২০১৬ইং