দৈনিক সান্তাহার

শ্রমিক সঙ্কটে পড়ছে ধানের দাম

santahar Newsসান্তাহার ডেস্ক:: অসময়ে অতি বৃষ্টির কারণে এবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আগাম চাষ করা ইরি-বোরো ধান পাকতে দেরি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কয়েক দফা ঝড় ও ঝড়ো বাতাসে ধান গাছ পড়ে গিয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে। অন্যান্য বছর যে সময়টাতে ধান পাকত এবং কাটা-মাড়াই শুরু হতো এবার তা প্রায় ১৫/২০ দিন পিছিয়ে গেছে। পাশাপাশি যে অঞ্চল থেকে শ্রমিক আসত সেখানেও প্রায় একই সময়ে কাটা-মাড়া শুরু হওয়ায় এই শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় ইরি-বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শ্রমিক হিসাবে কাজ করে থাকেন নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার শ্রমিকরা। তারা চৈত্রের শেষ থেকে বৈশাখের শুরুতে আসতে থাকে। ১৫-২০ দিনেই ধানকাটা ও মাড়াই শেষ করে ফিরে যেত নিজ নিজ জেলায়। কিন্তু এবার এউপজেলায় বরাবরের মতোই আগাম ধান চাষ হলেও ধান পাকার সময় অতি বৃষ্টি হবার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দিগন্ত জোড়া মাঠের পর মাঠ ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সঙ্কটে কৃষকরা ধান কাটাতে পারছে না। ফলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একদিকে শ্রমিক সঙ্কট অন্যদিকে শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধি এবং দিন দিন ধানের দাম কমে যাবার কারণে কৃষকদের হয়েছে মরণদশা। অল্প সংখ্যক স্থানীয় ও অস্থানীয় শ্রমিক মিললেও তারা মজুরি হাঁকছেন আকাশচুম্বী। এক বিঘা (২০ কাঠা) জমির ধান কাটতে খোরাকিসহ মজুরি দিতে হচ্ছে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। তাও আবার শুধু ধান কেটে জমি থেকে বহন করে এনে দেয়া। মাড়াই করতে হচ্ছে মেশিনে। মোটকথা এক বিঘা ধান কাটা-মাড়াই করতে খরচ পড়ছে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। এ উপজেলায় এখনও অর্ধেকও ধান কাটা-মাড়া হয়নি। তাতেই কমতে শুরু করেছে ধানের দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি মণ ধানের দাম কমেছে প্রায় ১ থেকে দেড়শ’ টাকা। সূত্র: জনকণ্ঠ

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/৮ মে ২০১৭ইং