দৈনিক সান্তাহার

সন্ধ্যায় জমজমাট সান্তাহারের স্বাধীনতা চত্ত্বর

santahar sadhinotaসান্তাহারে নবনির্মিত স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্বাধীনতা চত্ত্বর মিলনমেলায় রুপ নিয়েছে। খুব কম সময়ে এটি সান্তাহারের জনপ্রিয় একটি স্থান হয়ে ওঠেছে। শুধু তাই নয় এটি এখন সান্তাহারের নিদর্শন স্থাপত্য। আর তাই প্রতি সন্ধ্যা এখানে চলে জমজমাট আড্ডা। তরুণ যুবকসহ সব বয়সীদের আনাগোনা এই চত্ত্বরে। লাল সবুজ আলো, সঙ্গে স্বাধীনতার ধারক-বাহক একটি স্মৃতিস্তম্ভ তারুণ্যের প্রতীক হয়ে উঠছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সন্ধ্যায় খন্ড খন্ড দলে অনেকেই আড্ডার আসর চলে। আড্ডা চলে প্রায় রাত ১০/১১টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ীদের আড্ডা চলে এখানে। অনেকে দেখার জন্যও আসেন আবার অনেকে বাতাস গায়ে লাগতে আসেন।
সান্তাহারের স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ চত্ত্বরে আসা আসাদ নামের এক তরুণ বলেন, এখানে এসে আড্ডা দিতে ভাল লাগে। আর এটি শহরে প্রাণ কেন্দ্রে তাই সবার সঙ্গে যোগাযোগও সহজ হয়।
৪২ বছর বয়সী রহমান আলী বলেন, এখানে আসি বাতাসের কারণে। একে তো খোলা জায়গা, প্রচুর বাতাস। এই বাতাসে মন প্রাণ প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।
ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান সোহাগ বলেন, সান্তাহারে এমন স্থাপত্য আমাদের গর্বিত করে। এটি সান্তাহারের অন্যতম নিদর্শন। তবে আমি আশা করবো এর সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষা করা। সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা। যদি সকলেই সচেতন হয় তবে এই নিদর্শন যুগ যুগ ধরে সান্তাহারকে চেনাবে। আমি অনুরোধ করবো স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ এর উপর কেউ জুতা পরে উঠবেন না। যতদূর উঠা যায় উঠবেন তারপর জুতা খুলে উঠবেন। যতদূর যাবার অনুমতি আছে ততদূরই যাবেন এরপর না যাওয়াই ভাল। কারণ এটি এখন আমাদের সবার সম্পদ। আর এর ভাল মন্দও আমাদের দেখতে হবে।
সান্তাহার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব সময় স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ ও এই চত্ত্বরের প্রতি দৃষ্টি থাকে। এই চ্ত্ত্বর সন্ধ্যার পর আড্ডাস্থানে পরিণত হয় সেটি তাদের জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানিক ভাবে সান্তাহার স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়। এটি নকশাকার সাজেদুল ইসলাম চম্পা।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/১৯-০৪-২০১৬ইং