দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহারের সরকারি গুদামগুলোও খাদ্যশূণ্য

santahar news 2সান্তাহার ডেস্ক:: খাদ্য উদ্বৃত্ত উপজেলা হিসাবে বগুড়ার আদমদীঘি’র পরিচিতি দেশব্যাপী। এই উপজেলার সান্তাহার; দেশের বৃহত্তম খাদ্য সংরক্ষনাগার গুলোর অন্যতম। এখানে রয়েছে ৬০ হাজার মেট্টিক টনের অধিক ধারণ ক্ষমতার সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষনাগার (সিএসডি), ২৫ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলো, ২৫ হাজার মেট্টিক ধারণ ক্ষমতার দেশের প্রথম মাল্টিস্টোরিড ওয়্যার হাউজ খাদ্য গুদাম, সাড়ে ১০ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার সান্তাহার এলএসডি ছাড়াও আদমদীঘি উপজেলা সদর ও উপজেলার নসরতপুর এলএসডি’র সাধারণ ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার মেট্টিক টন। মোট ১ লাখ সাড়ে ২২ হাজার মেট্টিক টন সাধারণ ধারণ (সর্বোচ্চ প্রায় দেড় লাখ মেট্টিক টন) ক্ষমতার সরকারি এই গুদাম গুলো এবার শুন্য প্রায়।
এতেই অনুমান করা যায় দেশের খাদ্য মজুদ এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে। জানা গেছে, গত বছর এই সময়ে এই খাদ্য গুদাম গুলো ছিল সাধারণ মজুদেরও বেশী পরিমান খাদ্য। ফলে তদ্বির করে অন্যত্র পাঠিয়ে জায়গা খালি করার মাধ্যমে ইরি-বোরো ধান-চাল সংগ্রহ করতে হয়েছিল।
কিন্তু এবারের চিত্র পুরোটায় উল্টো। লক্ষাধিক মেট্টিক টন ধান-চাল সংগ্রহের জায়গা খালি থাকলেও কৃষক-ব্যবসায়ী কেউ ফিরে তাকাচ্ছেনা সরকারি এসব খাদ্য গুদামের দিকে। রবিবার পর্যন্ত সান্তাহার সিএসডি’র মজুদ ছিল আমন-ইরি মিলে মোট এক হাজার এক শত পঁচানব্বই মেট্টিক টন।
কিন্তু চলাচল কর্মসুচি থাকায় তা বেড়িয়ে গিয়ে যে কোন সময় মজুদ পরিমান শুন্যে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন সিএসডি’র ব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান। এদিকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্টিক টন সাধারণ ধারণ ক্ষমতার তিন এলএসডিতে মজুদ আছে এক হাজার ছয় শত দুই মেট্টিক টন। আবার দেশের একমাত্র মাল্টিস্টোরিড ওয়্যার হাউসে (সান্তাহার রাইস সাইলো নামে অধিক পরিচিত) মজুদ চালের পরিমান মাত্র ছয় শত ত্রিশ মেট্টিক টন এবং সান্তাহার খাদ্য শস্য সাইলোতে (গম সংরক্ষনাগার) সোমবার পর্যন্ত গমের মজুদ চার হাজার চার শত মেট্টিক টন ছিল বলে জানিয়েছেন ওই দুই প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষক মোঃ ইলিয়াছ হোসেন। সূত্র: জনকন্ঠ

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২০ জুন ২০১৭ইং