আপডেট দৈনিক সান্তাহার সান্তাহার ইউনিয়ন

সান্তাহারে ৫০০ ট্যাপেন্টাডলসহ ফার্মেসী মালিক গ্রেপ্তার

পেসক্রিপশন ছাড়াই ফার্মেসীর পাশাপাশি বাড়ি থেকেও শত শত নেশাজাতিয় ট্যাবলেট ‘ট্যাপেন্টাডল’ বিক্রি করতেন। পুলিশ প্রশাসন এবং মামলার ভয় ছিল না তাঁর। এই কারবার করতে গিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন বা কর্মচারী গ্রেপ্তার হলে জামিনে মুক্ত করে আনেন তিনিই। বহু ঘটনার পরও তিনি নানা কৌশলে কারবার চালিয়ে আসছেন। এবার বাড়িতে অভিনব কায়দায় ট্যাবলেট মজুদ করে বিক্রির সময় ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। বলছিলাম  সান্তাহার পৌর শহরের তাছিন ফার্মেসীর সত্বাধীকারি রাকিবুল ইসলাম রাকিব (৪০) এর কথা। রাকিবুল সান্তাহার ইউপির পূর্ব ছাতনী গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে, তবে বর্তমানে তিনি সান্তাহার পৌরশহরের ঘোড়াঘাট চা-বাগান মহল্লার বাসিন্দা। ৫০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তাররের পর শনিবার সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।


পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাছিন ফার্মেসীর সত্বাধীকারি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ঔষধের দোকান থেকে মাদক সেবীদের কাছে দেদারছে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি করছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর দোকানে বিক্রির সময় তার বাবা ও দুই কর্মচারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু সে সময় তিনি দোকানে না থাকায় রক্ষা পান। এরপর তিনি দোকানের পাশাপাশি বাড়ি থেকে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সান্তাহার পৌর শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে বিক্রির জন্য অবস্থান করছিলেন। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় তার শরীর তল্লাশী করে ৪০ পিস এবং পরে বাড়ির আলমাড়ী থেকে ৪৬০ পিস অর্থাৎ মোট ৫০০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।

আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, রাকিবুল চিহ্নিত কারবারি। পৌর শহরের বেশ কয়েকটি দোকানী এসব কর্মকান্ডে জড়িত। তাদের প্রতিও নজর রাখা হয়েছে। শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার রাকিবুলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।