দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহার স্টেশনে বেড়েছে পকেটমার ও চুরি

একটি অপারাধচক্র দীর্ঘদিন থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসলেও জিআরপি ও নিরাপত্তা বাহিনীর রহস্যজনক নীরবতার কারণে এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সান্তাহার ডেস্ক :: সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১ মাসে বিভিন্ন ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সোনার গহনা ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে যাত্রীদের অভিযোগে জানা গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, সর্বশেষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার দুপর ২টায় আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে। এ দিন নওগাঁ জেলার দোগাছী গ্রামের আফজাল সরদারের মেয়ে মাছুমা আকতার মুন্নি সান্তাহার থেকে রূপসা আন্তঃনগর ট্রেনে চড়ে খুলনা যাচ্ছিল। তার ভাই গোলাম মোস্তফা সুটু জানান, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সময় ছিনতাইকারীরা তার বোনের ভ্যানিটি ব্যাগ কেটে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়টি নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকাগামী দ্রুতযান ট্রেনে উপজেলার কুন্দুগ্রামের ফাতেমা বেগম রুপা নামে এক গৃহবধূর নিকট থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা, ১টি মোবাইল ফোনসহ একটি ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা এবং ওই ট্রেনে এক নারী যাত্রীর কান ছিঁড়ে দুল ছিনতাই করে।

অপরদিকে গত ২৭ জানুয়ারি আন্তঃনগর রূপসা ট্রেন থেকে বগুড়ার ট্রেনযাত্রী শোভা পারভীন নামে এক নারীর মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়। একই দিন নওগাঁ চকদেবপাড়া মহল্লার ইমন হোসেন নামে এক যাত্রীর ট্রলি ব্যাগ প্ল্যাটফর্ম থেকে হাতিয়ে নেয়।

গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকাগামী দ্রুতযান ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার পথে সোবহান আলী নামে এক ট্রেনযাত্রী কোটের পকেট কেটে ৫৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় পকেটমারেরা। একই দিনে মনোয়ারা পারভীন নামে এক ট্রেন যাত্রী দ্রুতযান ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার পথে একটি মোবাইল ট্যাব ছিনতাই হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন সান্তাহার জিআরপিকে অবগত করেও কোনো ফল পাওয়া যায় না বলে জানায়।

এ ব্যাপারে সান্তাহার জিআরপি থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই প্রণয় মণ্ডল বলেন, স্টেশনে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারদের প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সান্তাহার স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, স্টেশনে চুরি, ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা জিআরপি থানা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সূত্র: কালেরকন্ঠ

সান্তাহার ডটকম/ইএন/ ১ মার্চ ২০১৯ইং