দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চের আশপাশে ময়লার স্তূপ, অপসারনের দায়িত্ব নেবে কে?

সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চের আশপাশে ময়লার স্তূপ, অপসারনের দায়িত্ব নেবে কে?

নাজমুল হক ইমন :: সন্ধ্যায় খন্ড খন্ড দলে অনেকের আড্ডার আসর চলে। সেই আড্ডা চলে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত। শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ আসে সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চে আড্ডা দিতে। আবার অনেকে আসেন সান্তাহার নতুন এ স্থাপত্যটি দেখার জন্য, অনেকে আসেন গায়ে বাতাস লাগতে।

সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চ এবং চত্ত্বরটি ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন? অনেকেই তুলেছেন আঙ্গুল। সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চের আশপাশে বেশ কিছুদিন থেকেই দেখা যাচ্ছে ময়লার স্তূপ। সেটি দিন দিন বড়ই হচ্ছে। কিন্তু অপসারন হচ্ছে না। আর এটি অপসারনে কেউ এগিয়েও আসছে না। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চের আশপাশে ময়লার স্তূপের অপসারনের দায়িত্ব নেবে কে? কে করবেন এই ময়লা সাফ। করবেন সৌন্দর্য্যবোধ।

সান্তাহারের পুটু তালুকদার নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ফেসবুকে মঙ্গলবার সকালে সান্তাহার স্বাধীনতা মঞ্চের পাশে ময়লার স্তূপের একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে পরে থাকে এগুলো ময়লা। অপসারনের দায়িত্বটি কার? জরুরি অপসারনের ব্যবস্তা নিন। এখানে সান্তাহার শহরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসে একটু ভালো লাগার জন্য।’

সান্তাহারের স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ চত্ত্বরে আসা কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা হয় তারা জানান, ঘটনাটি সত্যিই। গত কয়েকদিন ধরে তারা এটি দেখছেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। তারা বুঝতেও পারছে না এই বিষয়টি নিয়ে কার সঙ্গে বা কাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কেননা এটি রেলওয়ের জায়গাতে গড়ে উঠেছে আবার সান্তাহার পৌর এলাকার ভেতর তাহলে এই স্থাপত্যটির দায়িত্ব কে নেবে? রেল বিভাগ নাকি সান্তাহার পৌরসভা নাকি স্বাধীনতা মঞ্চ রক্ষনাবেক্ষণ কমিটি।

স্বাধীনতা মঞ্চের পাশের পরে থাকছে দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিক ব্যাগ, পানির বোতল, ফলমূলের কাগজ এবং বক্সের অংশ বিশেষ, কাটা ডাবের অংশ বিশেষসহ নানা ধরনের আবর্জনা। শুধু তাই নয় উম্মুক্ত স্বাধীনতা মঞ্চের হরহামেশা গরু-ছাগল দেখা যায়।

স্বাধীনতা মঞ্চ খুব কম সময়ে সান্তাহারের জনপ্রিয় একটি স্থান হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় এটি এখন সান্তাহারের নিদর্শন স্থাপত্য। লাল সবুজ আলো, সঙ্গে স্বাধীনতার ধারক-বাহক একটি স্মৃতিস্তম্ভ তারুণ্যের প্রতীক। এর সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষা করা সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা সবারই দায়িত্ব। কিন্তু এই সম্পদটি এখন থেকেই রক্ষনাবেক্ষণ না করলে এটি রক্ষা করা কঠিন হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে সান্তাহারের সকল সুশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা প্রয়োজন স্থাপত্যটি রক্ষায়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানিকভাবে সান্তাহার স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন হয়। এটি নকশাকার সাজেদুল ইসলাম চম্পা।

সান্তাহার ডটকম/ইএন/১১ জুন ২০১৯ইং