দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহার হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৬ পদ শূন্য

তরিকুল ইসলাম জেন্টু :: সান্তাহার পৌর শহরে ১৯৩৭ সালে স্থাপিত নারী শিক্ষার একমাত্র সরকারি বিদ্যাপিঠ ‘হার্ভে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ ১৯৮৮ সালে সরকারীকরণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটসত্ত্বেও এখনো উপজেলার মধ্যে প্রথমস্থানে রয়েছে। এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা রয়েছে সর্বমোট ৬১৫ জন এবং শিক্ষক/শিক্ষিকা রয়েছে ৯ জন। অথচ বগুড়া ও নওগাঁয় যেসব সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোতে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষক রয়েছে। সে তুলনায় হার্ভে স্কুলে শিক্ষক সংকট নিয়েই পাঠদান চলছে।

বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ এবং ৭ম শ্রেণীর দুটি সেকশনে বিভক্ত করে ক্লাস নেয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক সল্পতার কারণে ওই সেকশনগুলো একত্র করে পাঠদান করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। র্দীঘদিন ধরে বিদ্যালয়টির ৬টি পদ শূণ্য রয়েছে। শূণ্য পদের মধ্যে রয়েছে প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক ২জন, অফিস সহকারি ১জন, আয়া ১জন ও পিয়ন ১জন মিলে মোট ৬টি পদ শূণ্য রয়েছে। এছাড়াও, নির্বিঘ্নে পাঠদান করাতে ইসলাম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, কম্পিউটার, শরীর চর্চা শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান, নৈশ্যপ্রহরী মিলে বিদ্যালয়ের জন্য প্রায় ১৬টি পদ সৃষ্টি করা একান্ত প্রয়োজন।

এভাবে বছরের পর বছর ধরে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদশূন্য থাকায় শিক্ষাকার্যক্রম বিঘ্ন ঘটছে। এহেন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবক মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এবং অনতিবিলম্বে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য জোরদাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা বেগম বলেন, শিক্ষক স্বল্পতার কারনে এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তির্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা তালিকার ১২০ জনকে ভর্তি করে নেয়া হলেও অনেক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়া সম্ভব হয়নি। হার্ভে স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল বর্তমানে এলাকায় স্কুলটির সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ধরে রাখতে হলে জরুরী ভিত্তিতে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। এই স্কুল সরকারিকরণের পর থেকে ছাত্রী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও র্দীঘদিন থেকে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ার কারনে আমরা অত্যান্ত কষ্টের মধ্যে দিয়ে স্কুলটির সুনাম ধরে রেখেছি।

আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির শিক্ষক পদ শূণ্যের ব্যাপারে আমাদের ডিপার্টমেন্টের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ্ বিন রশিদের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

সান্তাহার ডটকম/ইএন/১৪ জুন ২০১৯ইং