দৈনিক সান্তাহার

সাবধান! সান্তাহারে চলছে মোবাইলে জুয়া

সাবধান! সান্তাহারে চলছে মোবাইলে জুয়া

তরিকুল ইসলাম জেন্টু :: সান্তাহারে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি অ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্টফোন। এসব স্মার্টফোন কেউ ভালো কাজে আবার কেউ মন্দ কাজে ব্যবহার করছে। আবার অসাধু শ্রেণীর লোকেরা স্মার্টফোনের অপব্যবহার করে জুয়ার আসরও বসাতে ব্যস্ত। অ্যান্ড্রয়েড ফোন আবিস্কারের ফলে যতটা সুবিধা হয়েছে ঠিক ততটা অসুবিধাও বয়ে এনেছে।

বর্তমান সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড বা স্মাটফোন। এসব ফোনে বিভিন্ন সফটওয়ার অ্যাপসের সাহায্যে গেমস খেলাসহ নানা ধরনের শিক্ষামূলক বিভিন্ন কাজ করা যায়।

সম্প্রতি লুডু নামের একটি অ্যাপস খুব অল্প সময়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেছে। এ লুডু কাগজের তৈরি লুডুর মত সহজেই খেলা যায় বলে শিক্ষার্থীরা লুডু অ্যাপসটি ইনষ্টল করে খেলতে পারে। সহজলভ্য আর সহপাঠি নিয়ে খেলা যায় বলে বাজিতে আকৃষ্ট হচ্ছে অনেকে।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষক/শিক্ষিকারা সময় পেলেই লুডু খেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয় অনেক সময় শিক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরাও এই লুডু খেলায় মেতে উঠছে। এ নেশা শুধু শিক্ষার্থীরাই আসক্ত নয়, আদমদীঘি উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরাও দিনদিন আসক্ত হয়ে পড়েছে লুডু অ্যাপটিতে।

অ্যাপটি ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের তিনমাথা মোড়ে, পুকুর পাড়ে, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থান বেছে নিয়ে খুব সহজেই একটি চক্র প্রায় দিনই জুয়ার আসর বসাচ্ছে। এ জুয়ার আসরে আকৃষ্ট হয়ে নিমিষেই হাজার হাজার টাকা হারছে বাজি ধরে। গ্রামীণ যুবকরা দৈনিন্দিন কাজকর্ম বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে এসব লুডু নামক জুয়ার আসরে।

ফলে একদিকে অর্থ অপচয় অন্যদিকে সময় নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে যুব সময় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছাবে। এসব জুয়ার বিষয়ে দ্রুত সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে তা না হলে দিন দিন সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে লুডু নামক জুয়া থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।

সান্তাহার ডটকম/ইএন/২৩ জুন ২০১৯ইং