সান্তাহারের বাহিরে

আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নওগাঁর খামারিরা

সান্তাহার ডেস্ক :: কোরবানি উপলক্ষে বছর ধরে লালন পালন করা গরু নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নওগাঁর খামারিরা। একদিকে গোখাদ্যের চড়া দাম। অন্যদিকে করোনার কারণে ক্রেতা সংকট ও গরুর দাম গত বছরের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম। বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে গড়া খামারিরা এখন পুঁজি তোলা নিয়েই শঙ্কিত। এ অবস্থায় খামারিদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনতে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

নওগাঁর একটি খামারে থাকা অন্তত সাড়ে ৫ মণ ওজনের একটি ষাড়টির দাম হাঁকছেন দু’লাখ টাকা। কয়েকজন বেপারি খামারে এসে গরুটি দেখলেও করোনা পরিস্থিতিতে এত দাম দিয়ে কেনার সাহস পাচ্ছেন না। মাঝারি থেকে বড় জাতের ৩০টি ষাড় নিয়ে নওগাঁর মহাদেবপুরে নুরুজ্জামানের গড়ে তোলা এ খামারে কাজ করেন ৫ জন শ্রমিক।

একদিকে গোখাদ্যের চড়া দাম আর অন্যদিকে করোনার কারণে গরুর কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় নুরুজ্জামানের মতো প্রান্তিক গোখামারিরাও। গরু কিনতে তেমন একটা খামারে আসছেন না বেপারিরা। যারা আসছেন গেল বারের চেয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম দর হাঁকছে বলে জানান খামারিরা।

নওগাঁ’র মহাদেবপুরের ডক্টরস এগ্রো ফার্ম’র পরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, আমরা বেপারিদের সাড়া পাচ্ছি না। ভোক্তাদেরও সাড়া পাচ্ছি না। এত টাকা গরুর পেছনে খরচ করে এখন বেপারি পাচ্ছি না।

এদিকে, জেলার পশুর হাটগুলোতে বিক্রির জন্য গরু নিয়ে আসছেন অনেকেই। কিন্তু ক্রেতা সংকট আর কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় লোকসান আতঙ্কে প্রান্তিক খামারিরা। এ অবস্থায় খামারিদের সহায়তায় সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দিতে তালিকা তৈরির কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

নওগাঁ’র জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, যারা এই গবাদী পশু লালন-পালন থেকে কিছুটা হলেও দূরে সরে যাচ্ছে। তাদেরকে আমরা সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দিয়ে সার্বিকভাবে আমরা তাদেরকে সহায়তা করতে চাই। জেলায় ছোট বড় ৩১ হাজার গোখামারে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পশু প্রতিপালন করা হয়েছে।

সান্তাহার ডটকম/১৩ জুলাই ২০২০ইং/এমএম