সান্তাহারের বাহিরে

আদমদীঘিতে আম্ফানের প্রভাব ফসল নিয়ে সঙ্কায় কৃষক

সান্তাহার ডেস্ক ::  বগুড়ার আদমদীঘিতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি এবং রাত ৯টা থেকে দমকা ঝড়ো-বাতাস শুরু হয়। ঝড়ের তান্ডবে কৃষকের মাঠের আধা পাকা ধান জমিতে সুইয়ে পড়ে ও অধিকাংশ গাছের আম ঝড়ে পড়ে। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে প্রায় সান্তাহার সবক’টি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকে।

জানাযায়, আম্ফানের প্রভাবে আদমদীঘিতে হঠাৎ এই বৃষ্টিপাতে জনজীবন কিছুটা থমকে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই চলছে করোনার ছোবল এরমাঝে আম্ফানের প্রভাবে শঙ্কিত উপজেলাবাসী। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে বিপাকে পড়েছে ত্রাণ বিতরণকারী ও ত্রাণ গ্রহীতারা। এদিকে দমদমা গ্রামের জিললুর রহমান জানান, রাতে ঘূর্ণিঝড়ের কারনে বিদ্যুৎ সংযোগের তার ছিড়ে গেছে। তারপর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি দুপুরে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেন। তারা জানিয়েছেন বিচ্ছিন্ন তার মেরামতে করে সংযোগ দেয়া হবে।

সান্তাহার বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজানুর ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকে সকল ফিডারগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঝড়ে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যায়নি।উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের নিমাইদীঘি গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জামান হিটলার জানান, রবিশস্য আবাদের পর ছাতিয়ানগ্রামের খলকুড়া, কাল্লাগাড়ী, ধুলাতইর মাঠে বিলম্বে ধান লাগানো হয়। ফলে এসব মাঠে এখনো ২৫ শতাংশ ধান কাটা সম্ভব হয়নি। হঠাৎ ঝড়ো-বৃষ্টির কারণে ধানগুলো জমিতে সুইয়ে পড়ে। এতে তিনিও তার ৭বিঘা জমির ধান নিয়ে সঙ্কায় রয়েছেন।

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, চলতি মৌসুমে ১২,৩৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে ৭৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২২ শতাংশ জমির ধান মাঠে রয়েছে। এরমধ্যে শিলাবৃষ্টিতে ও পানিতে সুইয়ে পড়ে ৫৩ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কায় রয়েছে। তবে আগামী ২দিন যদি রোদ থাকে তাহলে এসব ফসল রক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সান্তাহার ডটকম /২২ মে ২০২০ইং/ এমএম