গুণীজন

আমাদের আলহাজ্ব কছিম উদ্দীন আহম্মেদ

 

Kasimuddinআলহাজ্ব কছিম উদ্দীন আহম্মেদ। ১৯৩৫ সালের ৭ মার্চ আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনী গ্রামে সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাহমুদ আলী সরদার। ১৯৫২ সালে পাবনা এ্যাডওয়ার্ড কলেজে অধ্যায়নকালীন সময়ে তিনি ভাষা আন্দোলনের জন্য কারারুদ্ধ হন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের কামারপাড়া মুক্তিযুদ্ধের রিসিপশন ক্যাম্প পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার গভর্নর ব্যবস্থা চালু করলে তিনি বগুড়া জয়পুরহাট এলাকার গভর্নর মনোনীত হন। তিনি সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর তিনি আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হবার পর সেই দুর্যোগকালীন সময়ে তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও ন্যায়ের প্রতীক হিসাবে তিনি এলাকাতে অবস্থান করছেন। বঙ্গবন্ধুর সহচর আজীবন আওয়ামী লীগের অন্ধভক্ত এই বৃদ্ধ মানুষটি যখন স্বল্প সংখ্যক মানুষ আওয়ামী লীগ করতেন তখন ও যেমন ছিলেন তেমনি আজ যখন হাইব্রিড আওয়ামী লীগদের দুর্দান্ত দাপট তখনও শীতের রাতেই বলুন আর প্রচন্ড দাবদাহে বলুন, প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি ১০০% উপস্থিতি সবাইকে অবাক করে। অনেক সাবেক তুখোর ছাত্রনেতাদের সৃষ্টিকারী এই নেতা এখনও স্বপ্ন দেখেন, তার জীবদ্দশাতেই নৌকা মার্কা নিয়েই একজন এমপি হবেন তার অনেক পছন্দের রাজনৈতিক অঞ্চল আদমদীঘি-দুপচাচিয়া আসন নং ৩৮ বগুড়া ৩। কতদিন আর গোপালগঞ্জে বিজয় আর আমাদের মিষ্টি খাওয়া। বিষয়টা ভালো লাগে না তার।
সান্তাহার ডটকম/সাজেদুল ইসলাম চম্পা/২৯-০৪-২০১৬ইং