দৈনিক সান্তাহার

কুষ্টিয়ার প্রতারক সান্তাহারে প্রতারণা

santahar news 6 aug 2016সান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহার থেকে রহস্যজনকভাবে স্কুলছাত্র নিখোঁজের ছয় দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। এদিকে নিখোঁজ ছাত্রকে আহত অবস্থায় উদ্ধার এবং তার চিকিৎসা বাবদ খরচ দেখিয়ে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে ২০ হাজার টাকা। আর এই প্রতারণার শিকার বানানো হয়েছে স্বয়ং এক পুলিশ কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে।
জানা গেছে, সান্তাহার পৌর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা কাজী শফিকুর রহমান বুলবুলের একমাত্র ছেলে শহরের বিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র কাজী ওয়ালিদুর রহমান (১৩) রবিবার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। সকালে বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার জন্য বের হওয়ার পর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। এ ব্যাপারে ওইদিন রাতে আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এদিকে নিখোঁজ ছাত্র ওয়ালিদুর রহমান ওয়ালিদের সন্ধান মিলেছে মর্মে বুধবার বগুড়ার আদমদীঘি থানায় মোবাইলে ফোন করা হয়। ফোনকারী নিজেকে কুষ্টিয়ার খোকসা থানার এসআই হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, স্কুলছাত্র ওয়ালিদকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ওয়ালিদের শরীর থেকে কিডনি খুলে নেয়া হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাত হাজার টাকা বিকাশ করতে বলেন। বিষয়টিতে আবেগাপ্লুত হয়ে অতি সহজভাবে গ্রহণ করেন আদমদীঘি থানার পুলিশ কর্মকর্তা। ফলে খোঁজখবরে না নিয়ে বিষয়টি তিনি অবহিত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদারকে। তিনিও আবেগাপ্লুত হয়ে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের ছেলের চিকিৎসার জন্য (০১৯৮৫-৫৯৩৬৭৩) নাম্বারে প্রথমে সাত ও পরে তিন হাজার টাকা বিকাশ করেন।
পাশাপাশি ওয়ালিদের বাবা শফিকুরও একই নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় পুলিশের এসআই পরিচয়ে ফোনকারী (মোবাইল ফোন নাম্বার ০১৭৬৩-৪৮২৩৫০) একজন প্রতারক।
সূত্র: জনকণ্ঠ
সান্তাহার ডটকম/ইএন/০৬ আগস্ট ২০১৬ইং