সান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহারে ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজছাত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী জামিল হোসেনকে (১৭) অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটক করে মারধর ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জামিলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে গত শুক্রবার বিকেলে যুবলীগের নেতা নুর ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সান্তাহার স্টেশন কলোনির বাসিন্দা ও সান্তাহার পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি প্রতিবন্ধী জামিল ২৩ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তার সহপাঠীসহ মোটরসাইকেলে করে সান্তাহার পূর্বঢাকা রোডের কাস্টমস অফিসের সামনে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম তাঁর সহযোগী শাহাজালাল, পিপলুসহ সাত-আটজন জামিলকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আটক করেন। আটকের পর তাঁরা রিভলবারের ভয় দেখিয়ে তাকে একটি ট্রাকের আড়ালে নিয়ে যান। পরে তাঁরা জামিলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় জামিলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতাল ও পরে মুমূর্ষু অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে নুর ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল হোসেন বলেন, আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সূত্র: প্রথম আলো
>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/৩০ এপ্রিল ২০১৭ইং
Add Comment