সান্তাহার পৌরসভা

বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’র কর্মবিরতির পালন

সান্তাহার ডেস্ক :: কোষাগার হতে শতভাগ বেতন ভাতার দাবীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারনে বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভায় নাগরিক সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ডাকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে ১৪ জুলাই রবিবার সকাল থেকে বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভাসহ দেশের ৩২৮ পৌরসভায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির পালন করছে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। কর্মবিরতির পালন করার কারনে সান্তাহার পৌর সভার বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নতা, জন্ম-মৃত্যু সনদপত্র প্রদানসহ সব প্রায় ২০ ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে যাওয়ায় পৌর সভার সেবা প্রত্যাশী লোকজন সেবা নিতে এসে অফিস কক্ষে তালা ঝুলানো দেখে ফিরে যাচ্ছে। এছাড়াও কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির কারনে ড্রেন গুলোতে ময়লা জমে রাস্তার পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করায় পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। পথচারীদের নাক মুখ চেপে দুর্গন্ধের মধ্য দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।

সান্তাহার পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের নেতা তুহিন ইসলাম জানান, সংবিধানের ৫৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে পৌরসভা একটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় তথা সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। পৌরসভা আইন-২০০৯ ইং মোতাবেক পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা, ড্র্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, রাস্তা আলোকিত করা, জন্ম-মৃত্যুসহ বিভিন্ন সনদপত্র প্রদান ও নিবন্ধনসহ প্রায় ২০ ধরনের নাগরিক সেবা দিয়ে থাকি। দেশের উন্নয়নে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভার নিজস্ব আয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও দেশের ৯০ ভাগ পৌরসভার পর্যাপ্ত আয় বা রাজস্ব না থাকায় সান্তাহার পৌরসভায় ৪৮ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুধু তাই নয়, চাকরি শেষে আমাদের কোন পেনশনের ব্যবস্থাও নেই। তাই এসব দাবি আদায়ে গত দুই বছর ধরে আবেদন-নিবেদন, স্মারকলিপি প্রদান, কর্মবিরতি, ঢাকায় সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি তাইতো বাধ্য হয়ে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির পালন করতে এসেছি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য একমাত্র রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা প্রদানই হতে পারে সমাধান। আমাদের অনির্দিষ্টকালের এ কর্মসূচির কারণে নাগরিক দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

সান্তাহার ডটকম/এমএম/ ১৭ জুলাই ২০১৯ইং