সৈকত খান :: ভুল ট্রেনের যাত্রী হয়ে সান্তাহারে ১০দিন থেকে আটকা পরা ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম অবশেষ ফিরে পেলো তার পরিবারকে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় সান্তাহার পৌরসভা চত্বরে পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বৃদ্ধা ফাতেমাকে তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও ভাতিজা গোলাম কিবরিয়ার হাতে তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মজিবুর রহমান, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনিসুর রহমান সহ অনেকে। মঙ্গলবার (৩১মার্চ) বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ভুল ট্রেনে উঠে যশোরের ফাতেমা ৭ দিন ধরে সান্তাহারে’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়।
সান্তাহার পৌরসভা মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, বৃদ্ধা মহিলা ২৬ মার্চ সান্তাহার স্টেশনে কান্নাকাটি করছিল। পরে তাকে রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৩১মার্চ) সকালে সান্তাহার পৌরসভার একটি ঘরে রাখা হয়। তাকে দেখভালের জন্য এক পৌরসভার এক পিয়নকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
এরপর ১ এপ্রিল যশোর সদর থানার মাধ্যমে যোগাযোগ করে ওই বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় তারা আসতে পারছিলেন না। আজ শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বৃদ্ধার ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও ভাতিজা গোলাম কিবরিয়া মাইক্রো ভাড়া করে আসেন। এরপর তাদের হাতে বৃদ্ধা ফাতেমাকে তুলে দেয়া হয়। পরে দুপুর ১ টার সময় তারা ফাতেমাকে নিয়ে যশোরের উদ্যেশে রওয়ানা দেন।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে ভুল কলে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে উঠে ওই দিন সন্ধ্যায় সান্তাহার স্টেশনে এসে নামেন। করোনার প্রভাবে ২৬ তারিখ থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে তিনি আর কোথাও যেতে না পেরে সান্তাহার স্টেশনে অপেক্ষা করেন। এক সময় ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে সান্তাহার স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে তার আশ্রয় মিলে। তার বাড়ি যশোর জেলা শহরের শংগরপুর গোলপাতা মসজিদের পাশে। স্বামী মৃত শেখ খলিল মিয়া। তার তিন মেয়ে ও একছেলে। ছেলে দেলোয়ার হোসেন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী।
সান্তাহার ডটকম/৩ এপ্রিল ২০২০ইং/ইএন
Add Comment