সান্তাহার ডেস্ক :: ভুল ট্রেনের যাত্রী হয়ে সান্তাহারে এসে আটদিন ধরে আটকা পড়েছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধ ফাতেমা বেগম। সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলবার সকালে স্টেশন থেকে তাকে নিয়ে পৌরসভার একটি ঘরে রেখেছেন। তাকে দেখভালের জন্য এক পিয়নকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ফাতেমার বাড়ি যশোর শহরের শংগরপুর গোলপাতা মসজিদের পাশে। স্বামী মৃত শেখ খলিল মিয়া। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে দেলোয়ার হোসেন ভাঙারির ব্যবসা করেন। পরিবারের ঠিকানা বলতে পারলেও স্বজনদের কোনো মোবাইল নম্বর বলতে পারছেন না তিনি। বাড়ি ফেরার জন্য মাঝে মধ্যেই কান্নাকাটি করছেন।
ফাতেমা বেগম বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছিলেন। গত ২৫ মার্চ ওই আত্মীয়র সঙ্গে কমলাপুর স্টেশনে এসে বাড়ি ফেরার সময় ভুলক্রমে যশোরের ট্রেনে না উঠে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে উঠেন তিনি। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় সান্তাহার স্টেশনে আবারো ভুল করে নেমে যান।
করোনার প্রভাবে ২৬ তারিখ থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তিনি আর কোথাও যেতে না পেরে সান্তাহার স্টেশনে অপেক্ষা করেন। এক সময় ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে সান্তাহার রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে তার আশ্রয় মেলে।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বৃদ্ধ মহিলা সান্তাহার স্টেশনে কান্নাকাটি করছিলেন। পরে খবর পেয়ে রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার ৩১ মার্চ সকালে সান্তাহার স্টেশন থেকে নিয়ে পৌরসভার একটি ঘরে রাখা হয়েছে। তাকে দেখভালের জন্য পৌরসভার এক পিয়নকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে ফিরিয়ে দিতে কয়েক জায়গায় যোগাযোগ করেছিলাম। তবে আমার সঙ্গে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। বৃদ্ধ মহিলা বলছেন, ট্রেনে উঠিয়ে দিলে তিনি যেতে পারবেন। কিন্তু কোনো পরিবহন তো চলছে না। এ ছাড়াও তাকে একা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। তাকে ফিরে পেতে (মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু : ০১৭১১-৮৩৪১৩৩) এবং (তুহিন : ০১৭২৪-৮৬১৪৩২) এই ফোন নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেছেন।
সান্তাহার ডটকম/১ এপ্রিল ২০২০ইং/ইএন
Add Comment