দৈনিক সান্তাহার

শেষ সময়ে সান্তাহার মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা

সান্তাহার ডেস্ক ::  বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ঈদ উপলক্ষে সীমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও ক্রেতা-বিক্রেতা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। কোনো মার্কেটে নেই ক্রেতাদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। অনেকে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন আবার কেউ কেউ মুখের মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে পোশাক ও জুতার দোকানে ভিড় বেশি। ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই লক্ষ্যণীয়। সঙ্গে তারা শিশু সন্তানদেরও নিয়ে এসেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দোকানগুলোয় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন তারা। এসব ক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক তো নেই। এমনকি বেশিরভাগ দোকানের বিক্রয়কর্মীদের হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক নেই। যাদের মাস্ক আছে তারা সেটি নাক-মুখ থেকে নামিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন।

সান্তাহার সোনার বাংলা মার্কেট, আয়েজ প্লাজা, উপহার টাওয়ার, জোবেদা প্লাজা, খন্দকার প্লাজা ও রেলওয়ে হকার্স মার্কেটসহ বেশ কিছু কাপড়ের দোকানগুলোর সামনে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ব্যস্ততার সাথে চলে কেনাকাটা।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের কারনে সান্তাহারের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকায় ওই সব এলাকা থেকেও লোকজন সান্তাহার পৌর শহরের মার্কেটগুলোতে পণ্য কিনতে আসছেন।

শিশু সন্তানকে নিয়ে মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা ফারজানা ববি বলেন, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে এসেছেন। কিন্তু বাজারে এসে দেখেন প্রচুর ভিড়। গরমে তার সন্তান মুখে মাস্ক রাখতে পারছেন না। ফলে ঝুঁকি নিয়েই তিনি কেনাকাটা করছেন।
লেমন মাহাবুব নামে সান্তাহার পৌর শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে সোনার বাংলা মার্কেটে গিয়ে দেখি সেখানকার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। সেখান থেকে পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্র রেলগেট এলাকায়

এসে একটি কনফেকশনারিতে দেখি সেখানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এভাবে চলতে থাকলে কোনোভাবেই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয়। প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পোশাক ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনা জানানো হলেও তারা তা মানছেন না। ক্রেতা হারানোর আশঙ্কা থাকায় আমরা বেশি চাপও দিতে পারছি না।’ এদিকে সচেতন মহল বলছেন, লকডাউন শিথিলের সুযোগে মানুষ যদি নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে তাহলে সব কিছু বন্ধ রাখাই ভালো।

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উপলক্ষে সীমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ও বিকেল ৪টার পর কোনো দোকান খোলা থাকবেনা বলে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় নজর রাখা হচ্ছে। নিয়ম ভঙ্গ করায় ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়েছে।

সান্তাহার ডটকম /২২ মে ২০২০ইং/ এমএম