সান্তাহারের ইতিহাস ঐতিহ্য

সংক্ষেপে সান্তাহারের ইতিহাস

santahar pauroshovaবগুড়া জেলার অন্তর্গত আদমদীঘি উপজেলার পশ্চিম সীমানা এবং নওগাঁ জেলার পূর্ব সীমানা ঘেঁসে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে ১০.৫৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট সান্তাহার পৌরসভা ১৯৮৮ সালে মে মাসে স্থাপিত হয়। পৌরসভার বর্তমান নয়টি (৯) ওয়ার্ড মিলে জনসংখ্যা ৩১ হাজার ৩৭ জনের (একত্রিশ হাজার সায়ত্রিশ) বেশি। বর্তমানে পৌরসভাটি ‌’খ’ শ্রেণী ভূক্ত ।
সান্তাহার একটি রেল প্রসিদ্ধ শহর। অধুনা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার রেল যোগাযোগ সান্তাহারের উপর দিয়ে হয়। তৎকালীন অবিভক্ত ভারত বর্ষে সান্তাহার থেকে ভারত তথা কলকাতা, দার্জিলিংসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে দার্জিলিং মেইল নামে খ্যাত রেলগাড়ির মাধ্যমে যাত্রা করা যেত।
সান্তাহার রেলপ্রসিদ্ধ শহর বিধায় পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পাকিস্থান সরকার সান্তাহারে বিহারীদের সান্তাহারে পূর্ণবাসন করে। ১৯৭১ সালে সান্তাহারের মুক্তিযোদ্ধরা ও আপামোর জনগণ মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিহারীদের উৎখাত করেন। সান্তাহারে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা অবস্থিত। যেমন- সাইলো, সিএসডি, এলএসডি, বাফার খাদ্যগুদাম, সওজ কারখানা, ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা। এছাড়া একটি সরকারি কলেজ, একটি সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, সকল ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সান্তাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। নওগাঁ জেলা ও আশেপাশের সকল এলাকার সড়ক যোগাযোগ সান্তাহারের মাধ্যমেই হয়।
সান্তাহারের জলবায়ু স্বাভাবিক। প্রাকৃতিক দূর্যোগ তেমন লক্ষ্য করা যায় না। মাটি উর্বর বিধায় ফসলাদি ভাল উৎপন্ন হয়। সান্তাহারের সজনে ডাটা দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি হিসাবে রপ্তানি হয়। সান্তাহার রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত শহর। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখানে একত্রে বসবাস করে।
তথ্যসূত্র: সান্তাহার পৌরসভা ওয়েব
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/১৫-০৪-২০১৬ইং