দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহারবাসী বেশি দামে তরমুজ খাচ্ছে

Santahar tormujসান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহারে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ প্রচুর পরিমাণ বাজারে আসলেও দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। যা কিনে খাওয়া সাধারন মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এটি শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তি দায়কই নয়, চিকিৎসকদের মতে তরমুজে সাইট্রুলিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন করে যা উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং এর বিটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট এ্যাটাক ও ষ্ট্রোক প্রতিহত করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংসপেশীর অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। এটি ফুসফুস, যকৃৎ কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সান্তাহারে পত্রিকা ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, পেপার বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন তাতে চাল, তরকারির পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের জন্য একটি তরমুজ কিনতে গেলে আর কিছুই কেনা সম্ভব হয় না। একটি তরমুজ কিনতে গেলে প্রায় ১৫০ টাকা কিনতে হয়। সারা দিনে পেপার বিক্রি করে আয় করেন ১৫০ থেকে ২শ’ টাকা।
সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রাঙ্গা জানান, বর্তমান বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলা লিংক জাতের এই তরমুজ কিনতে হচ্ছে। পরিবহন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশী হওয়ায় মোকাম থেকে বেশি দামে তরমুজ কেনার কারণে দামও বেশি হয়েছে। তবে নাটোর ও নওগাঁর সাপাহারসহ আশপাশের জেলা থেকে তরমুজ বাজারে আসলে দাম কমে যাবে। ওই ব্যবসায়ী আরো জানান, বর্তমান বাজারে তরমুজের বেচা-কেনা না থাকায় অতিরিক্ত দামে কিনে এনে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২৫ এপ্রিল ২০১৭ইং