দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহারে অনুমোদন ছাড়া নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে চিপস

 

সান্তাহার ডেস্ক :: সান্তাহার পৌর শহরের ইয়ার্ড কলোনী বস্তিতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে চিপস।স্থানীয়রা প্রক্রিয়াজাত এ চিপসকে কুলফি চিপস হিসেবে চেনেন। চিপটি কেনার আকর্ষণ বাড়াতে প্রতি প্যাকেটের ভিতরে একটি বেলুন দেওয়া হচ্ছে। এতে বেলুনের গন্ধে অল্পদিনে চিপস খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সান্তাহার পৌরশহরের ইয়ার্ড কলোনীর বস্তিতে শফিকুল ইসলাম, জামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও ঢাকাপট্রিতে আলমগীর হোসেন বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন চিপসের কারখানা।এসব চিপস তৈরি করতে ব্যবহার করছেন নিন্মমানের ভোজ্য তেল। ছাউনিহীন চুলায় চিপসগুলো ভাজার সময় তেলে অসংখ্য ছাই ও ধুলা-বালু উড়ে এসে পড়ে।

এক নারী শ্রমিক বলেন, চিপস খেয়ে শিশুদের ক্ষতি হবে কিনা জানি না। তবে প্যাকেট করে দিলে টাকা পাই। তাই কাজ করি। আর এসব বন্ধ হয়ে গেলে অন্য কিছু করবো। এত কোনো সমস্যা হবে না।

দমদমা গ্রামের শিশুর অভিভাবক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, এসব চিপস কোথায় থেকে ও কীভাবে আসছে? চিপসগুলোর প্যাকেটে কোম্পানির নাম, মনোগ্রাম বা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পর্যন্ত নেই। নিসন্দেহে এসব চিপস নিন্মমানের। তাই এসব চিপসগুলো শিশুরা খেলে যেকোনো সময় অসুস্থ্য হতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।

সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনী বাসিন্দা ও চিপস কারখানার মালিক শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এ ব্যবসা বৈধ তাই পুলিশ আসলে এসে চলে যায়। পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সসহ সকল প্রকার কাগজ পত্র রয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরও চিপস তৈরির বিষয়টি জানেন।

সান্তাহার পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান বলেন, কোথায় তৈরি হচ্ছে, কে তৈরি হচ্ছে জানা নেই। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেউ কোনো খাবার তৈরি করলে এটি আইনত অপরাধ।আদমদীঘি উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ভবেশ চন্দ্র রায় জানান, সান্তাহারে চিপস তৈরির জন্য বিএসটিআই কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

সান্তাহার ডটকম/এমএম/২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং