দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহারে রেলওয়ের পুরনো মালামাল লুটপাট

Santahar Newsসান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে রেলওয়ের পুরনো মালামাল সরবরাহের নামে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাকর্মী, জিআরপি পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা ও উপস্থিতিতে এই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ও বুধবার সকালে সান্তাহার রেলওয়ে ইয়ার্ড থেকে নিলামে বিক্রয়কৃত রেলের পুরনো মালামাল সরবরাহের সময় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চল জোনের রাজশাহী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয় দরপত্রের মাধ্যেমে সান্তাহার স্টেশন ইয়ার্ডে রক্ষিত পুরনো অকেজো ব্রিজের এইচবিমসহ মিশ্র মালামাল বিক্রি করে। চট্টগ্রামের রফিকুল আলম নামের এক ব্যক্তি ৬৮.১৫৮ মেট্রিক টন মালামাল ক্রয় করেন। গত ২৯ মার্চ তারিখের ২০১৭/২২ নম্বর বিক্রয়াদেশ নম্বরে সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয় বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পিডাব্লুউ অফিসের কাছে থাকা অকেজো মিশ্র মালামাল সরবরাহ নেয়ার জন্য মালামালের ক্রেতা চট্টগ্রামের রফিকুল আলমকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র দেয়া হয়। সেই মোতাবেক রফিকুল আলমের প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দীন জাহিদ ক্রয়কৃত ৬৮.১৫৮ মেট্রিক টন অকেজো মিশ্র এ মালামাল গ্রহণের জন্য সান্তাহর স্টেশনে আসেন। তিনি সোমবার সকালে লোকবল ও ট্রাক নিয়ে মালামাল নেয়ার জন্য সান্তাহার ইয়ার্ডে আসেন। এ সময় এলাকাবাসি জানতে পারেন মালামালের ক্রেতা সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, জিআরপি পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে যোগসাজশ করে ক্রয়কৃত মালামালের চেয়ে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসি ও সরকার দলীয় বেশকিছু নেতাকর্মী মালামাল গ্রহণে বাধা দিলে ক্রেতা ও তার লোকজন মালামাল নেয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়। পরে রাতে মালামাল ক্রেতার প্রতিনিধি সান্তাহার জিআরপি থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান ও কয়েকজন সরকার দলীয় নেতা, রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে পুলিশের সহযোগীতায় মালামাল দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল থেকে জিআরপি ওসি আরিফুর রহমান ও নিরাপত্তাবাহিনীর সি আই, এ এস আই রাজ্জাকের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত মালামাল নিতে সাহায্যে করে। অভিযোগে জানা গেছে, রেল পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনী, সৈয়দপুরের এসএস/এ/ই স্টোর শরিফ বিশ্বস ও কতিপয় সরকার দলীয় নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ক্রেতা শতাধিক মেট্রিক টন মালামাল বেশি নিয়ে গেছে। সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আসলাম সিকদার জানান, এই ঘটনায় দল ও পুলিশ তিন লাখ টাকা নিয়েছে। তিনি রাতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি আরিফুর রহমান বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বলেন, মালামালের ক্রেতা তার কাছে সহযোগিতার জন্য এসেছিল কিন্তু কোন দলীয় লোক আসেন নি। এ বিষয়ে রেলওয়ে সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের এসবি তোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সূত্র: ইনকিলাব

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২৪ এপ্রিল ২০১৭ইং