দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহারে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ

santahar Newsসান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আওতাধীন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিকবার লোডশেডিংয়ে শহর ও গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কলকারখানায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।

পিডিবির চেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বিদ্যুতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুতের অভাবে উপজেলার চাতাল ব্যবসা ও হ্যাচারি ব্যবসায় ধস নামছে।

সান্তাহার শহরের আরিফ স্বয়ংক্রিয় চালকলের মালিক রেজাউল ইসলাম বলেন, নতুন ধান ওঠার পর এখন চাল তৈরির ভরা মৌসুম চলছে। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বেশির ভাগ সময় মিল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে চাল তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার সব চালকলের একই অবস্থা। চাল তৈরি করতে না পারায় এর প্রভাব পড়েছে খোলা বাজারে। চালের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ঢাকাসহ দেশের অন্য জায়গায় চাল সরবরাহ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে নতুন ধান ওঠার পরও বাজারে চালের দাম কমছে না।

উপজেলার ছোটআখিড়া গ্রামের হ্যাচারির মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, মাছের পোনা উৎপাদনে হ্যাচারিতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় পোনা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে গরমে তাঁর হ্যাচারির অনেক পোনা মরে গেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় মাছের পোনা কেনাবেচা করে কয়েক হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। লোডশেডিংয়ে হ্যাচারিগুলোতে পোনা উৎপন্ন না হওয়ায় ওই সব খুদে মাছ ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। সান্তাহার শহরের সোনার বাংলা বিপণিবিতানের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন বলেন, লোডশেডিংয়ে তাঁর কেনাবেচা অনেক কমে গেছে।

সান্তাহার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সান্তাহার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রতিদিন সরবরাহ মিলছে ৮ মেগাওয়াট। আশা করা হচ্ছে রমজানের আগে এ সমস্যার সমাধান হবে। সূত্র: প্রথম আলো

>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২১ মে ২০১৭ইং