তরিকুল ইসলাম জেন্টু :: সান্তাহার রেলগেট চত্বরে অবস্থিত উপজেলার সবচেয়ে বড় ফল বাজার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পারায় তাদের বেচাকেনায় অনেকটা ভাটা পড়েছে। তবে দোকান ভরা গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতা না থাকায় তরমুজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। ফলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাধ্য হয়েই দাম বেশি নিচ্ছেন তারা।
এখানে প্রতিদিন ফল বিক্রি করে রোজগারের টাকায় অর্ধশতাধিক মানুষের সংসার চলে। প্রতি বছরের এই সময়টাতে এখানকার ব্যবসায়ীরা গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ কেনাবেচা করেন। চলতি বছর তার ব্যতিক্রম হয়নি। ক্রেতা না থাকলেও তারা দোকান ভরে তুলেছেন তরমুজ। প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজের দাম একটু বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে দুষছেন গাড়ি ভাড়াকে।
তরমুজ ক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, ৮ কেজি তরমুজ কিনেছি ২৭০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি তরমুজের দাম পড়েছে ৩২ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষের তরমুজ কিনে খাওয়া সহজ হচ্ছে না।
সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রাঙ্গা জানায়, নওগাঁর সাপাহার ও নাটোরসহ আশেপাশের জেলা থেকে তরমুজ বাজারে না আসায় বরিশাল, কুয়াকাটা, পতেঙ্গা থেকে কালো ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারনে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুন দিতে হচ্ছে চালকদের। এতে বাধ্য হয়ে তরমুজের দাম অনেকটা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।
সান্তাহার ডটকম/৩ এপ্রিল ২০২০ইং/ইএন
Add Comment