সান্তাহারের বাহিরে

নওগাঁ বিসিকের রাস্তা দেখার কেউ নেই

 

সান্তাহার ডেস্ক :: নওগাঁয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিনে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেনে ময়লা জমে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

বদ্ধ পানিতে মশা জন্মে শিল্প নগরী এলাকায় মশার উৎপাত বেড়েছে। জানা গেছে, ২০০০ সালে নওগাঁ শহরে প্রবেশ মুখে শালুকা নামক স্থানে এই শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়। সেখানে ১৫ দশমিক ৭৫ একর জমির ওপর দুই কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সে সময় অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যেখানে ৮২টি প্লট রয়েছে।এর মধ্যে শিল্প ইউনিট রয়েছে ৫৩টি। রাস্তার পরিমাণ হচ্ছে তিন দশমিক শূন্য ৭ একর। শিল্প নগরীর ভিতরে নির্মাণ করা রাস্তা দির্ঘদিন যাবৎ কোন রকম সংস্কার করা হয়নি।

সড়কগুলো দীর্ঘ সময়ে সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে এখন খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে এসেছে। গর্তগুলোতে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পানি জমে মালামাল পরিবহনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভারি যানবাহন চলাচল করায় রাস্তা দেবে গেছে।অপরদিকে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল। ফলে নিষ্কাশনের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রপ। কারখানা থেকে ময়লা-আর্বজনা ড্রেনে জমে পানি বন্ধ হয়ে থাকে।

বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেশি হলে রাস্তাগুলো ডুবে প্লাবিত হয়ে যায়। রাস্তা সংস্কারসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন শিল্প নগরীর উদ্যোক্তারা। প্যারাগন এগ্রো ইঞ্জিনিয়ার এর মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০১৫ সালে ছয় হাজার স্কয়ার ফুটের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে কৃষি সেচ যন্ত্র তৈরি ও যন্ত্রাংশ মেরামতের কাজ করছেন।শিল্প নগরী এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে ডুবে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মশার উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ময়লা-আর্বজনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়। বলতে গেলে নাজুক অবস্থা।

বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামীম হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছরে ৪৯৫ ফুট রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। যার বরাদ্দের পরিমাণ ১৭ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে ৫ শতাংশ কমে ১৬ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ব্যয়ে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সোলিং কাজ প্রায় শেষ এবং কার্পেটিংয়ের অপেক্ষায়। এছাড়া আগামী অর্থবছরে একই পরিমাণ রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শুধু টেন্ডারের অপেক্ষা।তিনি বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য প্রতি অর্থবছরে মাত্র ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকে।

সান্তাহার ডটকম/ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯/এমএম