প্রয়োজনীয় তথ্য

সান্তাহারের প্যারাসন্দেশও দেশবিদেশে জনপ্রিয়

parasondeshপ্যারা সন্দেশ ঐতিহ্যবাহী একটি মিষ্টিজাত। নওগাঁর জেলায় এটি বেশ জনপ্রিয় হলেও আমাদের সান্তাহারেও এর কদর কম নয়। সান্তাহারের বেশ কিছু মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং কিছু হোটেলেও এই মিষ্টান্ন পাওয়া যায়। বলা যায়, আমাদের সান্তাহারের তৈরি প্যারা সন্দেশও সুনাম কুড়াচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে।
ইতিহাস বলছে, শত বছর আগে নওগাঁর দোকানীরাই প্রথম তৈরি করেন এই ঐতিহ্যবাহী সন্দেশ। পরবর্তীতে সুস্বাদু এ সন্দেশ দেশব্যাপী সুনাম কুড়াই। আর এখন তা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, এটি এখন বহির্বিশ্বেও সুনাম কুড়াচ্ছে।
ইতিহাস আরো বলছে, নওগাঁ শহরের কালীতলার মহেন্দ্রী দাস নামে এক ব্যক্তি এই অঞ্চলে প্রথমে প্যারা সন্দেশ তৈরি শুরু করেন। তখন কালীতলা এলাকায় জনবসতি ছিল না। মহেন্দ্রীর পর তার ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ দাস দোকানের দায়িত্ব পান। সেই সময় বিমল মোহন্ত নামে মিষ্টি তৈরির এক কারিগরের তৈরি প্যারা সন্দেশের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ধীরেন্দ্রনাথ দাস প্রায় ৩০ বছর ব্যবসার পর দোকানটি সুরেস চন্দ্র মোহন্তের কাছে বিক্রি করে দিয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর সুরেস চন্দ্র মোহন্ত দোকানে নতুন মিষ্টির কারিগর শ্রী নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিককে আনেন। নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক সেই থেকে প্যারা সন্দেশ তৈরি করে আসছেন। দোকানের বর্তমান মালিক বৈদ্য রতন দাস হলেও মিষ্টির কারিগর রয়েছেন সেই নারায়ণচন্দ্র দাসই।
প্রতিটি প্যারা সন্দেশ প্রায় এক ইঞ্চি চওড়া ও আড়াই ইঞ্চি লম্বা। এক কেজি সন্দেশ তৈরি করতে দরকার হয় সাত লিটার তরল দুধ। দুধ আর চিনি ছাড়া অন্য কোনো উপকরণ না থাকায় এই সন্দেশ রাখা যায় ১০ থেকে ১৫ দিন।
পূজা, ঈদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই শুধু নয়, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এই সন্দেশ। প্রতি কেজি সন্দেশের দাম ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। সূত্র: ইন্টারনেট
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/১৫-০৪-২০১৬ইং