বিবিধ

একটি দলের জন্ম থেকে একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্ম

একটি দলের জন্ম থেকে একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্ম

জিআরএম শাহজাহান :: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দলের নাম। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন।একটি রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে। নেতৃবৃন্দ সম্মেলন করার কোন হল পাচ্ছিলেন না। শেষে হুমায়ুন সাহেবের ঢাকার “রোজ গার্ডেন”র বাড়ীতে সম্মেলন সম্পন্ন হলো। মৌলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কে সভাপতি এবং টাঙ্গাইলের সামসুল হক কে সাধারন সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে গঠিত হলো একটি রাজনৈতিক দল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন জেলখানায়। তাঁকে করা হয় দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। কে জানতো এই দলটিই একদিন বাঙালী জাতির জন্য একটি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রের জন্ম দেবে। মুলত পূর্ব পাকিস্তান ভিত্তিক দল গঠনের মধ্য দিয়েই একদিন পূর্ব পাকিস্তান নামটির যে বারোটা বাজবে তা সে সময়ের পাকিস্তান বিরোধী বাঙালী হিন্দু-মুসলমানরা সহজেই অনুমান করতে পেরেছিলো।

১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দি উদ্যান)বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা। ফলে সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে উত্তাল আন্দোলন গড়ে ওঠে।বঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে। কারাগার থেকেই তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে কর্মসুচী দিলেন। পুলিশ ১৪৪ ধারা জারী করলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে ঢাকার রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা মিছিল করে। পাকিস্তানী শাসকদের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী মিছিলের উপর গুলি চালায়। নিহত হয় রফিক,জব্বার, ছালাম,শফিক, বরকত সহ অনেকে। সেদিন থেকেই মুলত পুর্ব পাকিস্তানের পতনের সুত্রপাত হয়।

বাঙালীদের জন্য যে আলাদা একটি জাতি-রাষ্ট্র প্রয়োজন, সেটি পরিস্কার হয়ে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ মুলত সেদিনই রোপিত হয়।
১৯৫৩ সাল।শেখ মুজিব কে দলের সাধারন সম্পাদক করা হলো। শেখ মুজিব ছিলেন একাধারে সু-চতুর, তিক্ষ্ম মেধা সম্পন্ন, তুখোর বক্তা, চৌকষ সংগঠক, যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে পারদর্শী এবং নেতা-কর্মীদের কাছে একজন গ্রহন যোগ্য ব্যক্তিত্ব। যার ফলে তিনি অল্প বয়সেই গুরুত্বপুর্ন পদে আসীন হলেন।

১৯৫৪ সাল। পুর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচনের সময় শের-এ-বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে ২১ দফা কর্মসূচী দিয়ে মুসলীম লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে মুসলীম লীগ ৩০৯ আসনে মধ্যে মাত্র ৯টি আসন পায়। কিন্তু যুক্তফ্রন্টকে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হলো না। একটি কালো আইনের বলে যুক্তফ্রন্ট কে অপসারন করা হলো।

১৯৫৫ সাল। শেখ মুজিব গণ-পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলেন। ১৭ই জুন পল্টনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা থেকে শেখ মুজিব পুর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ব শাসন দাবী করে ২১ দফা ঘোষনা করেন।
২১শে অক্টোবর আওয়ামী মুসলীম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে মুসলীম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। জন্ম হয় একটি অসাম্প্রদায়িক দল। শেখ মুজিব পুনরায় দলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৫৭ সাল। মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করেন। এ সময় আরেক মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ কে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

১৯৫৮ সাল। ৭ অক্টোবর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা ও আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারী করে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা করে এবং শেখ মুজিব কে ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করে।

১৯৬০ সাল। শেখ মুজিব মুক্তি পায়। এ সময় শেখ মুজিব স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য নিয়ে বিশিষ্ট ছাত্র-যুবক নেতৃবৃন্দ দ্বারা ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামে একটি গোপন সংগঠন সৃষ্টি করেন।

১৯৬২ সাল। শেখ মুজিব ফের গ্রেফতার হন। ২ জুন আইয়ুব খান সামরিক আইন তুলে নেন এবং মৌলিক গনতন্ত্রের তত্ব আবিষ্কার করেন। ২৫ জুন শেখ মুজিব মৌলিক গনতন্ত্রের কঠোর সমমালোচনা করে বিবৃতি প্রদান করেন।

১৯৬৪ সাল। শেখ মুজিবের বাস ভবনে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করে প্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটে সাধারন নির্বাচনের দাবী উত্থাপন করে প্রস্তাব গ্রহন করা হয়। এ সময় মাওলানা তর্কবাগীশকে ফের সভাপতি এবং শেখ মুজিবকে আবারো সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়।

১৯৬৫ সাল। শেখ মুজিব কে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করে আবার মুক্তি দেয়া হয়।

১৯৬৬ সাল। ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দল গুলোর যৌথ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।এখানেই বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফা উত্থাপন করেন। যা ছিলো মুলত বাঙালী জাতির মুক্তি সনদ।
একই বছরের ১ মার্চ শেখ মুজিবকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। শেখ মুজিব ৬ দফা দাবী সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে গণসংযোগ শুরু করলে তাঁকে ফের ৮ই গ্রেফতার করা হয়।

১৯৬৮ সাল। ৩ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবকে এক নম্বর আসামী করে, ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ভাঙ্গা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।

১৯৬৯ সাল। ৫ জানুয়াররি ছাত্র লীগ, ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশ ও এনএসএফ এর একাংশ নিয়ে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। শেখ মুজিবের ৬ দফা আর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঘোষিত ১১ দফার আন্দোলনে পাকিস্তান সরকারের ভীত কেঁপে ওঠে। চুরান্ত গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

২৩ ফেব্রুয়ারি। সারাদেশে আন্দোলনের উত্তাল ঢেউ। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দেবে। স্থান: রেসকোর্স ময়দান। ১০ লক্ষাধিক ছাত্র-জনতার সমাবেশ। সমাবেশে শেখ মুজিব ৬ দফা এবং ১১ দফার প্রতি সমর্থন চাইলেন। লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতা দু -হাত তুলে তাদের সমর্থন জানিয়ে দিলেন। অতপর এই সমাবেশ থেকেই শেখ মুজিব কে “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভুষিত করা হলো। আজকের আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষনেতা তোফায়েল আহমদ সেদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন। তখন তিনি ছিলেন ডাকসুর ভিপি এবং তিনিই বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষনা করেন।

শুরু হয় গণ-অভ্যুত্থান। গণ আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খানের পতন ঘটে। ঐ বছর ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া ক্ষমতা গ্রহন করে সামরিক আইন জারী করেন। ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দির মৃত্যু বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় পূর্ব পাকিস্তান নয়, তিনি পূর্ব বাংলার নাম রাখেন “বাংলাদেশ”।

১৯৭০ সাল। ইয়াহিয়া নির্বাচন দিবেন কথা দিলেন। ৬ জুন বঙ্গবন্ধু পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের পক্ষে দেশবাসীর কাছে বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার প্রতি আবারো সমর্থন চাইলেন। ১৭ অক্টোবর দলের প্রতিক হিসাবে “নৌকা” মার্কা নেয়ার সিদ্ধান্ত হলো। নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩০০ টি। তার মধ্যে জাতীয় পরিষদের পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭ টি আসন লাভ করে। আর প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ টি আসনে মধ্যে ২৮৮ টি আসন পেয়ে যায়।

১৯৭১ সাল। ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি অবিচল থাকার আহবান জানান। ১৩ ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়া ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করেন। কিন্তু পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টুর পরামর্শে ইয়াহিয়া খান ১ মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মূলতবি ঘোষনা করেন। সারাদেশে আন্দোলন, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। উত্তাল হয়ে ওঠে সমগ্র মুক্তিকামী বাঙালী জাতি। ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল পালিত হয়।বঙ্গবন্ধু অবিলম্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী জানান।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক সমাবেশে এক যুগান্তকারী ভাষন দেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো, শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি আরো রক্ত দেবো। এ দেশের মানুষ কে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশআল্লাহ’। বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মুলত বঙ্গবন্ধু নির্দেশেই দেশ পরিচালিত হয়। আলেচনা ব্যর্থ হবার পর ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের নির্দেশ দিয়ে ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ঐ রাতেই নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালী জাতিকে হত্যার উল্লাসে মেতে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে।

২৫ মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করেন,“এটাই আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের জনগন, তোমরা যেখানেই থাক তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই দিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার সৈন্যবাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমি তোমাদের আহবান জানাচ্ছি। পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে”। রাত ১ টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তান সেনারা বঙ্গবন্ধুকে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে ৩ দিন পর পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যায়।
এদিকে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে দেয়া বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে দুপুরে এমএ হান্নান ও সন্ধ্যায় আবুল কাশেম সন্দীপ পাঠ করেন। পরদিন ২৭ মার্চ তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন।

১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে গঠন করা হয় বিপ্লবী সরকার। সেখানে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়।

১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আত্মকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহন করে। শুরু হয় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোষর জামায়ত-শিবির,রাজাকার,আলবদর,আল্ শামস্ ও মুসলীম লীগের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ। কর্নেল এমএজিকে সর্বাধিনায়ক করে বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে বঙ্গবন্ধু পুর্ব নির্দেশ উপদেশ-পরামর্শ ও গঠিত সররকারের তত্বাবধানে পরিচালিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন বিসর্জন দেয়। লুন্ঠিত হয় ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনীর ৯৩ হাজার সেনা আত্মসমর্পন করে।

পৃথিবীতে জন্ম নেয় একটি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র, যার নাম ‘বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৩ বছরের লড়াই-সংগ্রাম আর যুদ্ধের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম। বাংলাদেশ স্বাধীন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। বাংলাদেশ, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো বঙ্গবন্ধুকে মুক্তির দেয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগ করলো। যেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন। যে দেশটি স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১২ টি বছর পাকিস্তানী কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থাপতিকে-শ্রষ্টাকে কখনোই আটকে রাখা যায় না। তাই ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সাল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি তাঁরই স্বপ্নে দেখা কাঙ্খিত বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন।
লেখক: কলামিস্ট

সান্তাহার ডটকম/ইএন/২২ জুন ২০১৯ইং