দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহার জংশন স্টেশনে ট্রেনের আসন বরাদ্দ কম

সান্তাহার জংশন স্টেশন
সান্তাহার জংশন স্টেশন

সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের বরাদ্দ কম থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় আসন কম বরাদ্দ থাকায় প্রতিদিন টিকিট না পেয়ে অনেক যাত্রী ফিরে যেতে বাধ্য হন। আবার অনেকে ট্রেনে আসন না পেয়ে যাত্রীদের দীর্ঘ পথ দাড়িয়ে থেকে যেতে হয়।
সান্তাহার ষ্টেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দিনে এবং রাতে সান্তাহার জংশন ষ্টেশন দিয়ে পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এগুলো হচ্ছে, দিনাজপুর থেকে আসা দ্রুতযান আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ও একতা আন্তঃনগর এক্সপ্রেস,নীলফামাড়ী থেকে আসা নীলসাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস,লালমনিহাট থেকে আসা লালমনি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস এবং রংপুর থেকে আসা রংপুর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস। এই পাঁচটি ট্রেনে শোভন সাধারন, শোভন চেয়ার এবং প্রথম শ্রেনী মিলে সর্বমোট টিকিটের সংখ্যা মাত্র ১৫০ টি। এর মধ্যে শোভন সাধারন ৮৩ শোভন চেয়ার ৬৫ এবং প্রথম শ্রেনী মাত্র দুইটি।
সান্তাহার ষ্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম বলেন, প্রতিদিন সান্তাহার জংশন ষ্টেশন থেকে এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী বিভিন্ন ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। এর মধ্যে ঢাকাগামী যাত্রীর সংখ্যা থাকে পাঁচ থেকে ছয়শ। ঢাকাগামী ট্রেন গুলোতে চাহিদার চেয়ে অনেক কম আসন বরাদ্দ থাকায় টিকিট বিক্রি করতে হিমসিম খেতে হয়। তিনি বলেন, সান্তাহার জংশন ষ্টেশন থেকে নওগাঁ জেলা সদর নিকটে হওয়ায় সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়া নওগাঁয় বিজিবি’র দুটি ব্যাটালিয়ন এবং বগুড়া সেনানিবাস থেকে প্রচুর পরিমান সদস্য ট্রেন পথে চলাচল করেন। প্রয়োজন থাকা সর্ত্তের তাঁদের টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়না। এ ছাড়া প্রথম শ্রেনীর মাত্র দুটি টিকিট বরাদ্দ থাকায় উর্ধতন সেনা কর্মকর্তাদের টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। তিনি বলেন, ঢাকাগামী ট্রেনগুলোতে বেশী আসন বরাদ্দ চেয়ে একাধিক বার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে চিঠি দিয়েও কোন লাভ হয়নি।
সান্তাহার পৌরসভার কাউন্সিলর জার্জিস আলম বলেন, সান্তাহার একটি গুরুত্বপূর্ন জংশন ষ্টেশন। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার কারনে এই ষ্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান যাত্রী দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এর মধ্যে ঢাকাগামী ট্রেনগুলোতে উল্লেখ যোগ্য পরিমান যাত্রী চলাচল করেন। কিন্ত প্রতিদিন যাত্রীদের টিকিট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। টিকিট না পেয়ে তারা অনেক সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের শরান্নপন্ন হন। ট্রেনগুলোতে আসন কম থাকায় তাদের জন্য কিছুই করার থাকেনা।
এ বিষয়ে রেলওয়ের পাকশী বিভাগের বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা আহসানুল হক ভুইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে সান্তাহার জংশন ষ্টেশনের জন্য কোন আসন বাড়ানো সম্ভব হবেনা। তবে ট্রেনে কামড়া বৃদ্ধি হলে আসন বাড়ানো হবে।
সান্তাহার ডটকম/সাগরখান/১৫-০৪-২০১৬ইং