দৈনিক সান্তাহার

সান্তাহার ভূমি অফিসে নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়

 

সান্তাহার ডেস্ক ::  বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ভূমি অফিসের ‘ক’ ইউনিয়নের তহসিলদার মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নামজারি করতে আসা কয়েকজন ভুক্তভোগি এই অভিযোগ করেন।জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে সান্তাহার ভূমি অফিসে তহসিলদার পদে যোগদান করেন মশিউর রহমান।

অভিযোগ রয়েছে, মশিউর রহমান সান্তাহার ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকেই নামজারি করতে আসা জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। তিনি এই কাজে ব্যবহার করেন ওই অফিসের অফিস সহায়কদের।

সেবা নিতে আসা এসব মানুষের কাগজপত্র তিনি সরাসরি না দেখে ‘খ’ ইউনিয়নের অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনকে দিয়ে দেখান। আবার এসব অফিস সহায়করাই (পিয়ন) নামজারি করতে খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে জমির মালিকদের কাগজপত্র ঠিক থাকুক বা না থাকুক নির্ধারিত ফি এর চেয়ে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।

সম্প্রতি সান্তাহার ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, তহসিলদার মশিউর রহমানের কাছে ‘ক’ ইউনিয়নের তারাপুর মৌজার একটি জমির (দুই শতক) নামজারি করতে আসেন আসলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজে কাগজপত্র না দেখে অফিস সহায়ককে দেখাতে বলেন। কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি নেই বলে অফিস সহায়ক জমির মালিককে নিশ্চিত করেন।

এরপর খরচের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেন, আট হাজার টাকা লাগবে এর কমে হবেনা। জমির মালিক আবারও তহসিলদার মশিউর রহমানের কাছে যান। তহসিলদার তাকে অফিস সহায়কের সাথে কথা বলতে বলেন। এতে নিরুপায় হয়ে অবশেষে নামজারি করতে কাগজপত্র জমা দেন তিনি।

জানতে চাইলে তহসিলদার মশিউর রহমান বলেন, খরচের বিষয়ে আমি কোনো কথা বলিনা। আমার সাথে তাদের সম্পর্ক শুধু খাজনা নিয়ে। আমার টেবিলে নথি জমা হলে স্বাক্ষর করে ছেড়ে দিই।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক বলেন, এমন অভিযোগ অনেকবার পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের কয়েকবার ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এবার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সান্তাহার ডটকম/ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং/এমএম